পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদ আনন্দের উৎসব। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে লাখ লাখ পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাটির নিচে পুঁতে ফেলার দৃশ্য এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবারও লাখ টাকার গরুর চামড়া আড়াইশ টাকায়ও বিক্রি করতে না পারার চাপা ক্ষোভ ঝাড়লেন অনেকেই। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে শত শত চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলে প্রতিবাদ করার ঘটনাও আলোচনায় জায়গা করে নেয় ফেসবুকে।
সমালোচকরা বলছেন, কোরবানির পশুর চামড়াকে বলা হয় ‘গরিবের হক’। কারণ চামড়া বিক্রির টাকা সদকা হিসেবে গরিব, এতিম ও ফকির-মিসকিনদের দান করার বিধান আছে। টানা গত কয়েক বছর ধরে ফড়িয়া সিন্ডিকেটের অদৃশ্য কারসাজিতে কোরবানির চামড়া বিকিকিনিতে নৈরাজ্য চলছে। গরিবেরা তাদের হক বঞ্চিত হচ্ছে। রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় কোরবানির ঈদের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের দেখা মেলেনি। চামড়া বিক্রি করতে না পেরে অনেকেই নিকটবর্তী মসজিদ মাদরাসায় কোরবানির চামড়া দান করছেন। কোনো কোনো এলাকায় লাখ টাকায় কেনা গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩০০ টাকায়।
চামড়ার ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে সাংবাদিক মানিক মুনতাছির লিখেছেন, ‘‘চামড়া কাহিনী! ১৯৯৮/৯৯ মৌমুসে ৩০ হাজার টাকায় গরু কিনলে চামড়া বেচতাম ১২০০/১৫০০ টাকা। ২০১০/১২/১৫ সালেও চামড়ার বাজার বেশ ভালই ছিল। আর ২০১৯ সালে ৭৮ হাজার টাকার গরুর চামড়া বিক্রি করছিলাম ৮০০ টাকা৷ ২০১৯ সালে মে বি ৬০০ টাকা। গত বছর রাগ করে পুঁতে ফেলি মাটিতে আর এবার ৯৫ হাজার টাকার গরুর চামড়া নিতে এখনো কেউ আসল না। এমন কি মাদ্রাসায় ফোন করে বলায় হুজুর জানাল কাউকে দিয়ে পাঠায়া দেন৷ অথচ এক জোড়া জুতা কিনতে হয় পাঁচ হাজার টাকায়৷ একটা ওয়ালেট কিনতে হয় দেড় থেকে দু'হাজার টাকায়৷ হায়রে চামড়া শিল্প। কোথায় ট্যানারী মালিক। কোথায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়৷ কোথায় ফড়িয়া৷ কিভাবে ধংস করা হয় একটা শিল্পকে।এসে দেখে যাও কপিলা।’’
চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করায় ক্ষোভ জানিয়ে এম আব্দুস সামাস শিকদার লিখেছেন, ‘‘পরিকল্পিত উপায়ে সিন্ডিকেট করে চামড়া শিল্পকে সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস করা হয়েছে!!! এক খন্ড চামড়া দিয়ে তৈরি জুতার দাম ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০০ টাকা কিন্তু কাঁচা চামড়ার কোন মূল্য নাই কেন?’’
এফ আর শামিম লিখেছেন, ‘‘সুপরিকল্পিত ভাবে এতিমখানা-মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়ার পায়তারা। চামড়ার দাম না দিলে এতিমখানা-মাদ্রাসার অর্থ সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এদিকে চামড়াজাত পণ্যের দাম দিনকে দিন বেড়েই চলবে। বাহ!’’
মোঃ কাইয়ূম সরকার লিখেছেন, ‘‘দেশে চামড়ার কোন মূল্য নেই, ৩ লক্ষ টাকার গরুর চামড়া ৩০০ টাকা, অথচ চামড়ার একটা জুতা কিনতে লাগে ৫০০০ টাকা, সুপরিকল্পিতভাবে ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশের চামড়া শিল্প ধ্বংস করা হয়েছে।’’
জহিরুল ইসলামের মন্তব্য, ‘‘আজ থেকে ১৩/১৪ বছর আগে। ৬০/৭০ হাজার টাকার গরু চামড়া ২৫ শত টাকা বিক্রি হতো। এখনছ সিন্ডিকেটের কারণে। বিক্রি করলে দামে কম। কিনতে গেলে বেশি দাম। আমি চার বছর আগে এক জোড়া চামড়ার জুতা কিনতে হয়েছে ৪ হাজার টাকা। এখন চামড়া সস্তা কেন। এখন সব জায়গায় দলিও সিন্ডিকেট।’’
রাকিব হাসান চৌধূরী লিখেছেন, ‘‘মূল্য না পেলে এভাবে ফেলে দেওয়া উচিত কারণ চামড়ার দাম এত কম অথচ জুতার দাম দেখবেন আকাশ ছোঁয়া অতএব কি দরকার আছে এদের কাছে চামড়া বিক্রি করার প্রয়োজনে ফেলে দেওয়া হোক।’’
মোঃ বিল্লাল হোসাইন লিখেছেন, ‘‘এক লক্ষ টাকার একটা গরুর চামড়া ৩০০, টাকায় বিক্রি কারার চেয়ে, কেটে কেটে পুকুরের মাছ কে খাওয়ানো ভাল, আর ঐ ৩০০,টাকা আমরা মাদ্রাসায় দিয়ে দিব।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।