বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দাম এবং ক্রেতা না থাকায় চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রংপুর অঞ্চলের কোরবানীদাতারা। বিশেষ করে চামড়া ক্রেতাগন ছাগলের চামড়া না নেয়ায় সেগুলো বাধ্য হয়ে ফেলে দিতে হচ্ছে। আর এতে করে শত শত মাদরাসা, এতিমখানা চরম আর্থিক সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই দেশে চামড়ার ব্যবসায় ধ্বস নেমে এসেছে। এর কারণে দেশের সর্বত্রই চামড়ার দাম একেবারেই নিম্নমুখী। তারপরও এবারে মহামারী করোনার প্রভাব। কোরবানী হয়েছে অনেক কম। গরুর পরিবর্তে অনেকেই ছাগল বা খাসী কোরবানী দিয়েছেন। কিন্তু এবার ছাগল বা খাসীর চামড়ার ক্রেতা একেবারেই নেই। মওসুমী ব্যবসায়ীরা ছাগলের চামড়া কিনছেন না। ফলে এক প্রকার পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে গরুর চামড়া। একটি ১০ হাজার টাকা দামের খাসীর চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে ১০ টাকায়। এতে করে আড়তে নিয়ে গিয়ে চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে রিক্সা ভাড়াও উঠছে না। ফলে অধিকাংশ কোরবানী দাতাগন চামড়া ফেলে দিচ্ছেন। শুধু ছাগল বা খাসীর চামড়াই নয়, ছোট গরুর চামড়াও কিনছেন না ব্যবসায়ীগন। বিকেল পর্যন্ত একটি বড় গরুর চামড়া ৪/৫’শ টাকা, মাঝারী গরুর চামড়া ৩/৪ ’শ আর ছোট গরুর চামড়া দেড় থেকে ২’শ টাকায় বিক্রি হলেও সন্ধ্যার পর তা অনেক কমে যায়। সন্ধ্যায় অনেককেই ছোট গরুর চামড়া ৫০ থেকে ১’শ টাকায় বিক্রি করতে শোনা গেছে। আর খাসী বা ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে না পারায় নগরীর ডাষ্টবিনসহ বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিতে হয়েছে। যা পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়িতে করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বুধবার রাতে এবং আজ বিকেলে নগরীর চামড়ার আড়ত হাজীপাড়া (চামড়াপট্টি) গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই চামড়া বিক্রি করতে নিয়ে এসে ফেরত যাচ্ছেন। ঈদের দিনের চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার অর্ধেক দামেও চামড়া কিনছেন না চামড়া ব্যবসায়ীরা। বড় গরুর চামড়া সর্বোচ্চ সাড়ে ৪’শ টাকায়, মাঝারী গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৩’শ টাকায় কিনতে দেখা গেছে। যদিও সরকারীভাবে সর্বোচ্চ দাম এক হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে। ছাগলের চামড়া কেনা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ টাকায় দেয়া। ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা ছাগলের চামড়া কিনতে চাচ্ছি না। কিন্তু পরিচিত অনেকেই নিয়ে আসছেন। পরিচিতি এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা দেয়া হচ্ছে যাতে রিক্সা ভাড়াটা উঠে।
অন্যান্যবার ঈদের দিন গরু কোরবানীর আগে থেকে মওসুমী ব্যবসায়ীদের দৌড়-ঝাঁপ থাকলেও এবার কোরবানীর শেষ পর্যন্ত তাদের তেমন দেখা যায়নি। চামড়ার দাম না থাকায় এবার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানার লোকদেরও চামড়া সংগ্রহে দেখা যায়নি। অনেক মাদ্রাসা, এতিমখানা কোরবানীর চামড়া থেকে প্রাপ্ত আয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু গতবছর থেকে এই খাতের আয় একেবারেই নেই বললেই চলে। তার ওপর এবার করোনার প্রভাব। মাদ্রাসাগুলি পুরোপুরি খোলা হলে চরম অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।