বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার নেই কোন পর্যটক। ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিনে সৈকতে হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্থানীয়দের আনাগোনা বেড়ে যায়। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইকোপার্ক সংলগ্ন ঝাউবাগান ও মাঝি বাড়ি পয়েন্টে এসব লোকজনদের লক্ষ্য করা গেছে। তারা মাস্ক পরিধান কিংবা স্বাস্থ্যবিধিও মানছেনা। তবে পুলিশের টহল অব্যাহত থাকায় সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্ট ছিল একেবারে ফাঁকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত পহেলা এপ্রিল থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। তারপরও হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্টে স্থানীয়দের আনাগোনা বেড়ে গেছে। তবে হোটেল মোটেল গুলোতে নেই কোন পর্যটক এমনটা জানিয়েছেন কুয়াকাটার ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা জানান, দেশ ব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকদের কুয়াকাটা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর ফলে নেই কোন পর্যটক। আর হোটেল মোটেল গুলোও একেবারে বন্ধ রয়েছে। এখন ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসা ২/৪ জন সৈকতে জড়ো হয়। তাও আবার ট্যুরিষ্ট পুলিশ ধাওয়া দিয়ে উঠিয়ে দিচ্ছেন।
ট্যুর অপারেটর এ্যাসোশিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াকের সভাপতি বলেন, কুয়াকাটায় এখন কোন পর্যটক নেই। ঈদের পরে কঠোর লকডাউন পালিত হবে এমন সিদ্ধান্ত সরকার আগে থেকে জানিয়ে দেওয়ায় এবারে এই প্রথম ঈদের পরের দিন কোন পর্যটক আসেনি। স্থানীয় পর্যায়ে কিছু দর্শনার্থী আসলেও ট্যুরিষ্ট পুলিশ কঠোর থাকায় তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
কুয়াকাটার ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো.অব্দুল খালেক বলেন, বাহিরের কোন পর্যটক নেই। পটুয়াখালী জেলার মধ্যে কিছু দর্শনার্থী এসেছিল। তাদেরকেও ফিরিয়ে দিয়েছি। তবে শুক্রবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।