পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলাধীন সাগরকন্যাখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। যেখানে এলে সাগরের নীল জলরাশি আর ঢেউয়ের গর্জন পর্যটকদের মন কেড়ে নেয় প্রতিটি মুহুর্তে। গত দুই দশকের বেশি সময়ে এখানে আগমন ঘটে দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকের। কিন্তু এখানে আসতে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভাঙ্গা সড়ক আর একাধিক সেতু পার করে কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের জন্য ছিল নানারকম বিড়ম্বনা। পদ্মা সেতু চালু হলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে স্থবির হয়ে থাকা নামি-দামি বিনিয়োগকারীদের স্থাপত্য। যা পর্যটকদের সেবার মান বাড়াবে আগের থেকে কয়েকগুণ। অবসান ঘটবে কুয়াকাটায় পৌঁছানোর সকল ধরনের প্রতিবন্ধকতা এমনটাই প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকলের। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা গৃহবধূ উম্মে সালমা জানান, কুয়াকাটায় ভ্রমনের জন্য সবসময়ই মনটা প্রস্তুত থাকে। তবে পদ্মা নদীর মাওয়া ফেরি তাদের মুল প্রতিবন্ধকতা হিসাবে কাজ করতো। এবার পদ্মা সেতু উদ্বোধনে তাদের আর কোন বাঁধা থাকবে না।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে এম বাচ্চু জানান, ইতোমধ্যে আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে বর্তমানের থেকে কয়েকগুণ বেশি পর্যটক কুয়াকাটায় আসবে। সেজন্য আমরা ট্যুর গাইডদের পরিধি বাড়াচ্ছি। তাদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি, সৈকতের সৌন্দর্যকে আরো বাড়ানোর চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছি।
জল তরুণী ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুর রহমান জানান, পদ্মা সেতু এই সৈকতকে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে দিবে। ইকো-ট্যুরিজমের প্রসার বাড়বে সাথে সারা বছর পর্যটকে মুখর থাকবে কুয়াকাটা।
কুয়াকাটা সিকদার রিসোর্টের জি এম মো. নাসিমুল আজিম জানান, বেশ কয়েকবছর আমরা নির্দিষ্ট একটি সংখ্যক পর্যটক পেতাম। পায়রা সেতু উদ্ভোধনের পর আমরা পদ্মা সেতু উদ্ভোধনের অপেক্ষায় ছিলাম। আশা করছি এই সেতু খুলে দিলে বেশি পর্যটক হবে। সেই লক্ষে হোটেলের রুম, জনবল, সুযোগ-সুবিধা বাড়াচ্ছি যাতে আগত পর্যটকদের সেবার মান আগের থেকে বেশি দেয়া যায়।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, সেতু চালু হলে কুয়াকাটার একটি আমুল পরিবর্তন হবে। ঢাকা-কুয়াকাটার দূরত্বটা কমে যাওয়ার কারণে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার পথ ৫ থেকে ৬ ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে যে কারণে বর্তমানের থেকে কয়েকগুণ পর্যটক বেশি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে কুয়াকাটায় রাত্রিযাপনের ধারণ ক্ষমতা ১৫ হাজার রয়েছে। সেতু খুলে দিলে এর কয়েকগুণ পর্যটক হওয়ার সম্ভাবনায় বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ফাইভস্টার-থ্রিস্টার মানের হোটেল তৈরিতে অনেকে কাজ শুরু করছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল জানান, রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ উন্নয়নের আশার আলো দেখছে। এই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক চাকা সচল হবে। এই সেতু উদ্বোধনের খবরে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে অত্রঅঞ্চলের মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।