নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ফতুল্লায় অনুশীলন ম্যাচে বিসিবি একাদশকে ভুগিয়েছেন তরুণ লেগ স্পিনার রশিদ খান। ম্যাচ শেষে মোসাদ্দেক সৈকত তাই টিমমেটদের দিয়েছিলেন সতর্কবার্তা। কিন্তু সেই সতর্কবার্তায় আমল দেননি মুশফিকুর, রুম্মান। ১০ ওভারে খরচা এই লেগ স্পিনারের ৩৭ রান, শিকার ২টি মূল্যবান উইকেট। শ্লগে বাংলাদেশ ভুগেছে মূলত: এই লেগ স্পিনারের বোলিংয়েই। জানেন, মুশফিকুরকে বোল্ড আউটে ফিরিয়ে দিয়েছেন নাকি তিনি পরিকল্পিত বোলিংয়ে, অধিনায়ক আসগর স্ট্যানিকজাইয়ের টিপসে স্পিনে খেলতে পারদর্শি মুশফিকুরকে শিকার করেছেন গুগলি ডেলিভারীতে। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে গতকাল ১৮ বছরের এই তরুন আফগান সেই গোপনীয় তথ্যই দিয়েছেনÑ‘ম্যাচের আগে টিম মিটিংয়ে প্রত্যেক ব্যাটসম্যানকে নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা ছিল। যে কে কোন জায়গায় দুর্বল, তা আলোচনা করেছি। মুশফিকুর রহীম সøগ সুইপ ভাল খেলেন, তাই অধিনায়ক আমাকে বললেন যে তুমি যদি গুগলি বল করো তাহলে অনেক টার্ন করবে এবং ওই ডেলিভারী মারতে যেয়ে সে কিছুটা সমস্যায় পড়বে। আর সেটাই আমি করেছিলাম।’
গুগলি তার প্রধান অস্ত্র। তা প্রয়োগে ব্যাটসম্যানের মানসিকতা নাকি পরখ করেন রশিদÑ ‘আমি শুধু ব্যাটসম্যানদের মানসিকতার দিকে দৃষ্টি রেখেছি যে তারা কি করতে চায় লেগব্রেকের বিরুদ্ধে। তখন আমি গুগলি করেছি।’ টেস্ট,ওয়ানডে থেকে নিয়েছেন বিদায়। আনুষ্ঠানিকভাবে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিদায়ের প্রহর গুনছেন এখন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। তবে পাকিস্তানের এই লেগ স্পিনারই নাকি তার আইডল। তাকে আইডল মেনেই নাকি হয়ে উঠেছেন লেগ স্পিনার। এমনটাই জানিয়েছেন রশিদ খানÑ‘ যখন আমি শুরু করেছিলাম, শহীদ আফ্রিদিকে দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
আফ্রিদি লেগ স্পিনার হলেও গুগলি ডেলিভারি সেভাবে করেছেন, এমন দৃষ্টান্ত খুব একটা চোখে পড়েনি। অথচ, রশিদ খান নাকি আফ্রিদির গুগলি দেখেছেনÑ ‘অবশ্যই তিনি অনেক গুগলি করতে পারেন, হয়তো আপনি সেটা করতে দেখেননি।’ লেগ স্পিনার হয়ে বেড়ে উঠছেন ঠিকই, তবে লেগ স্পিনের তালিম রশিদ পাননি কারো কাছ থেকে। এমন অদ্ভুত কথাও শুনিয়েছেন এই লেগিÑ‘এটা প্রকৃতিপ্রদত্ত। কেউ এ বিষয়ে আমাকে সহায়তা করেনি।’
জানেন, যে আফ্রিদিকে আইডল মেনে মেলে ধরছেন নিজেকে, সেই আফ্রিদিকে নাকি কখনো সামনা সামনি দেখার সৌভাগ্যই হয়নি রশিদ খানেরÑ‘না, তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।’
জয়ের কাছাকাছি যেয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হাতছাড়া করার কারণ হিসেবে শ্লগের ব্যাটিংকে অভিযুক্ত করেছেন এই লেগ স্পিনারÑ‘ কোচ এবং অধিনায়ক আমাদের বলেন মাঠে গিয়ে পজিটিভ ক্রিকেট খেলতে। গত ম্যাচে আমরা সেটাই করেছি। অনেক ক্লোজ ম্যাচ ছিল এবং আমাদের জেতা উচিত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্ভাগ্য যে আমরা কিছু ভুল করেছি। প্রথম ওয়ানডেতে বিশেষ করে শেষ দশ ওভারে যে ভুলগুলো করেছি সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চাই।’
বাংলাদেশের কন্ডিশনে বোলিং ভালই উপভোগ করছেন রশিদ খানÑ ‘ইতোমধ্যেই অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের সময় এখানে বোলিং করেছি। আমি বেশ ভালভাবেই সেটা উপভোগ করছি, বোলিং করতে খুব স্বাচ্ছন্দ পাচ্ছি। তাছাড়া এটা স্পিনারদের জন্য খুব ভাল উইকেট।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।