বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১১ জন। তাদের মধ্যে করোনায় ৯ জন এবং ২ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২১ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০ শয্যার করোনা ইউনিটে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন ২৪২ জন। এর মধ্যে করোনা নিয়ে ১৮০ জন এবং ৬২ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে নতুন ৪৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪২ জনে। শনাক্ত ২০২ জনসহ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৯৪ জনে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৪২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২০২ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৯৩ জন, দৌলতপুরের ৩২ জন, কুমারখালীর ৩৩ জন, ভেড়ামারার ৬ জন, মিরপুরের ২৮ জন ও খোকসার ১০ জন রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত জেলায় ৮০ হাজার ৭৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৭৬ হাজার ৭২৩ জনের। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৮০ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৫৬ জন ও হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৮২৪ জন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।