Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ চারে বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টন রিপোর্টার : অনুর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টে ‘এ’ পুলের শেষ ম্যাচে ওমানকে বিধ্বস্ত করে গ্রæপ সেরা হয়েই শেষ চারে জায়গা পেলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। গতকাল বিকালে মওলানা ভাসানী জাতীয হকি স্টেডিয়ামে লাল-সবুজরা ১০-০ গোলে হারায় ওমানকে। বিজয়ীদের হয়ে আশরাফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মহসিন তিনটি করে, ফজলে রাব্বি দু’টি এবং আরশাদ হোসেন ও মাহবুব হোসেন একটি করে গোল করেন। এ জয়ের ফলে গ্রæপ পর্বে সেরা হওয়ায় ‘বি’ পুলের দ্বিতীয়স্থান অর্জনকারী দল চাইনিজ তাইপের মুখোমুখী হবে বাংলাদেশ। মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে আগামীকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হবে ম্যাচটি। বিকাল ৩টায় ‘এ’ পুলের দ্বিতীয় দল ভারত খেলবে ‘বি’ পুলের শীর্ষস্থান অর্জনকারী দল পাকিস্তানের বিপক্ষে।
কাল মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের নীল টার্ফে ওমানের বিপক্ষে এক চেটিয়া আধিপত্য ছিল বাংলাদেশ দলের। স্বাগতিকরা ম্যাচের প্রথমার্ধেই প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে সাত গোল। ম্যাচের তিন মিনিট থেকেই গোল দেয়া শুরু করে লাল-সবুজরা। এসময় নাঈমের পাস থেকে গতিময় হিটে গোল করেন মাহাবুব (১-০)। সাত মিনিটে রোমানের পাসে আরশাদ নিখুঁত ফ্লিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন (২-০)। এবার নৈপূণ্য দেখানোর পালা ম্যাচ সেরা মহসিনের। ম্যাচের ১৫ মিনিটে রোমান সরকার ২৫ গজ লাইন থেকে কোনাকুনি দৌড়ে স্কয়ার পাস দেন মহসিনকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু বক্সে জটলার সৃষ্টি হলে আরশাদের কাছে যায় বল। তার হিটটি ইব্রাহিম প্যাড দিয়ে রুখে দিলেও মহসিনের হিটের বল বোর্ডে আছড়ে পড়ে (৩-০)। ১৬ মিনিটে রোমান-আরশাদের কম্বিনেশন থেকে ফজলে রাব্বি পুশে গোল করে ব্যবধান ৪-০ তে আনেন।
দীর্ঘক্ষণ পেনাল্টি কর্নার (পিসি) বঞ্চিত ছিলো বাংলাদেশ। ফলে কারিশমা দেখাতে পারছিলেন না পিসি স্পেশালিস্ট আশরাফুল। এবার সময় আসে তার। কারণ ম্যাচের ২১ মিনিটে প্রথম পিসি পায় লাল-সবুজের যুবারা। সেই সঙ্গে স্পেশালিস্ট আশরাফুলের বৈচিত্রপূর্ণ হিটে গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। রাব্বির পুশ নাঈমের স্টপ থেকে আশরাফুলের হিট খুঁজে পায় ঠিকানা (৫-০)। গোলের পর গোল পেয়ে যেন আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তাদের গোলক্ষুধা যেন বেড়ে যায়। তাই আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ২৮ মিনিটে নাঈমের পাস থেকে মহসিন নিজের দ্বিতীয় ও দলের পক্ষে ষষ্ঠ গোল করেন (৬০)।
৩২ মিনিটে দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নারেও সফল হন আশরাফুল। এবার রাজু আহমেদের পুশ রাব্বীর স্টপ থেকে গোল করেন তিনি (৭-০)। এই ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধে গোলক্ষুধা দেখা যায়নি লাল সবুজের খেলোয়াড়দের। ফলে বিরতির পর মাত্র তিনবার প্রতিপক্ষে বোর্ডে আছড়ে পড়ে তাদের বল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ওমান কিছুটা আক্রমণাত্মক মেজাজে খেললে দীর্ঘক্ষণ গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। অবশ্য ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ফের খুলে যায় স্বাগিতকদের গোলের দ্বার। এসময় মাহবুবের হিটে ফ্লিক করে নিজের তৃতীয় গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন মহসিন (৮-০)। ৬১ মিনিটে পিসি থেকে আশরাফুল নবম (৯-০) ও এর ছয় মিনিট পর ফজলে রাব্বি রিভার্স হিটে দশম গোলটি করেন (১০-০)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই টার্ফ ছাড়ে লাল-সবুজরা। একই টার্ফে দিনের প্রথম ম্যাচে চাইনিজ তাইপে ২-২ গোলে ড্র করে চীনের বিপক্ষে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান ১৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে হংকং চায়নাকে। ফলে ‘বি’ পুল থেকে পাকিস্তান গ্রæপ সেরা হয়ে শেষ চারে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ চারে বাংলাদেশ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ