মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলি একটি কোম্পানির সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশেবর রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গার্ডিয়ান পোসট ও অন্য ১৫টি মিডিয়া আউটলেট এই খবর প্রকাশ করেছে বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, ইসরাইলি নজরদারি কোম্পানি এসএসও গ্রুপের বিক্রি করা প্যাগাসাস সফটওয়ার ব্যবহার করে কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো এই নজরদারি চালিয়েছে।
গার্ডিয়ানে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ফাঁস হওা ৫০ হাজারের বেশি টেলিফোন নম্বরগুলোর প্রতি ২০১৬ সাল থেকে ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানটির আগ্রহ ছিল। তবে কেবল ওই নম্বরগুলোই হ্যাক হয়েছে, তা সম্ভবত নয়।
ফাঁস হওয়া একটি ডেটাবেইসে এই ফোন নম্বরগুলো প্রথমে পায় প্যারিসভিত্তিক সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, পরে তারা গার্ডিয়ান, দ্য অয়্যারসহ ১৬টি সংবাদ মাধ্যমকে তা জানায়। তারা সবাই মিলে এই অনুসন্ধানের নাম দিয়েছে ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’।
ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান এসএসও গ্রুপ পেগাসাস নামে এই ম্যালয়্যার তৈরি করেছে, যা আইফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ঢুকে ব্যবহারকারীর মেসেজ, ছবি, ইমেইল পাচার করতে যেমন সক্ষম, তেমনি কল রেকর্ড এবং গোপনে মাইক্রোফোন চালুও রাখতে পারে।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, আরব রাজপরিবারের সদস্য, কূটনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ ছাড়াও অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্যবসায়ী নির্বাহীর নামও রয়েছে তালিকায়।
এছাড়া এএফপি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, আল জাজিরা, ফ্রান্স ২৪, রেডিও ফ্রি ইউরোপ, মিডিয়াপার্ট, এল প্যাইস, এপি, লা মদেঁ, ব্লুমবার্গ, ইকোনমিস্ট, রয়টার্স ও ভয়েজ অব আমেরিকার মতো মিডিয়ার সাংবাদিকদের ফোনে আঁড়িপাতা হয়েছিল বলে খবরে প্রকাশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।