Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘নিজেদের খাঁচায় বন্দী সার্কাসের প্রাণি মনে হয়’

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০৩ এএম

গত প্রায় এক বছর ধরে নতুন নিয়মের বেড়াজালে বন্দী ক্রিকেটাররা। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা কষ্টকর অনুভ‚তির কথা। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার তাবরাইজ শামসি হতাশা প্রকাশ করতে জানালেন জৈব সুরক্ষা বলয়ে তার নিজেকে খাঁচায় বন্দী প্রাণি মনে হয়।
২০১৯ সালের জুন মাসে প্রথম দল হিসেবে ইংল্যান্ড সফরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সিরিজ থেকে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের প্রতিটি সিরিজে খেলোয়াড়দের জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হচ্ছে। এখনো কতদিন এইভাবে চলতে হবে তা কেউ জানে না। ইতোমধ্যে ক্রিকেটাররা হাঁপিয়ে উঠেছেন। জৈব সুরক্ষা বলয়ের পাশাপাশি তাদেরকে কোয়ারেন্টিনও করতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে এই নতুন নিয়মে হাঁসফাঁস করছেন ক্রিকেটাররা।
আসন্ন ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজকে সামনে রেখে জৈব সুরক্ষা বলয়ের কঠোরতা কমাতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) এই সিদ্ধান্তে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটার রিশাভ পান্ট ও দলের এক অফিসিয়াল করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এই মুহ‚র্তে এই ধরনের সিদ্ধান্তকে অনেকেই সমর্থন করছেন না। তবে ক্রিকেটাররা সেটা সাদরে গ্রহণ করেছেন।
ইসিবির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নিজেদের হতাশার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তুলে ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার শামসি। তিনি বলেন, জৈব সুরক্ষা বলয়ে তাদের হতাশা ও অসুবিধা কেউ বোঝেন না। বরং ওই সময়ে তার নিজেকে খাঁচায় বন্দী সার্কাসের প্রাণির মতো লাগে। শামসি লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের ওপর এটি চাপিয়ে দেওয়ার প্রভাব অন্য কেউ বুঝতে পারে না, আমাদের পরিবার ও ক্রিকেটের বাইরে জীবনৃ মাঝেমাঝে মনে হয় যেন আমরা খাঁচায় বন্দী সার্কাসের প্রাণি যাদের বাইরে নেওয়া হয় শুধু সেই সময়ে যখন অনুশীলনের প্রয়োজন ও যখন ম্যাচ খেলে দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার প্রয়োজন হয়।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সার্কাসের প্রাণি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ