Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাকিস্তান ক্রিকেটের বাবা-ছেলেরা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০৩ এএম

যে কীর্তির কথা বলা হচ্ছে, তার এক পাশ যদি গড়ে থাকেন কিংবদন্তি মঈন খান, আরেক পাশ গড়লেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র পা রাখা তার ছেলে আজম খান। পাকিস্তানের কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটার মঈনের ছেলে আজম পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নেমে বাবার নামের পাশে যোগ করলেন নতুন কীর্তি- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের বাবা-ছেলের প্রতিনিধিত্বের।
পাকিস্তানের ইতিহাসে পঞ্চমবার এমন বাবা-ছেলে দেখা গেল, যারা খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। গত শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় আজমের। যদিও মাত্র ৩ বল খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আজমের, তাতে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। অবশ্য অপরাজিত ছিলেন। তাতেও হয়ত অভিষেক ম্যাচের পারফরম্যান্স মনে রাখার মত কিছু নয়। তবে আজম মাঠে নেমে বাবা-ছেলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার যে কীর্তি গড়লেন, তা নিশ্চয়ই ক্রিকেট বিশ্ব মনে রাখবে অনেক দিন।
পাকিস্তানের ক্রিকেটে বাবা-ছেলের এমন দৃষ্টান্ত দেখা গেছে সর্বশেষ গত বছর। সবার প্রথমে এই দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছিল ১৯৭৬ সালে। বাবা ও ছেলে দুজনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন- পাকিস্তানে এমন ঘটনা মোট ৫টি।
১৯৫২ সালে পাকিস্তানের হয়ে খেলা নজর মোহাম্মদের ছেলে মুদাসসার নজর ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন। প্রখ্যাত ক্রিকেটার হানিফ মোহাম্মদ খেলা ছাড়েন ১৯৬৯ সালে, তার ছেলে শোয়েব মোহাম্মদ অভিষেক ঘটান ১৯৮৩ সালে। বাকি তিনটি নজিরই চলতি শতকে। আশির দশকে জার্সি তুলে রাখা মজিদ খানের ছেলে বাজিদ খান খেলেছেন ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। নব্বইয়ের দশকে অবসর নেওয়া বিখ্যাত আব্দুল কাদিরের ছেলে উসমান কাদির ২০২০ সালে অভিষেক ঘটান।
সর্বশেষ মঈন খানের ছেলে আজম খান অভিষেক ঘটালেন শুক্রবার। অবশ্য মঈন আর আজমই পাকিস্তানের একমাত্র বাবা-ছেলে, যারা চলতি শতকে খেলেছেন! ১৯৯০ সালে অভিষিক্ত মঈন পাকিস্তানের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেন ২০০৪ সালে।

পাকিস্তান ক্রিকেটের বাবা-ছেলেরা
বাবা ছেলে
নজর মোহাম্মদ মুদাসসর নজর
হানিফ মোহাম্মদ শোয়েব মোহাম্মদ
মজিদ খান বাজিদ খান
আব্দুল কাদির উসমান কাদির
মঈন খান আজম খান



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ