Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মনু নদী ভাঙন আতঙ্ক : কয়েকটি স্পট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ

কাজের ধীরগতিতে স্থানীয়দের ক্ষোভ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) উপজেলা সংবাদদতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২১, ২:৫৫ পিএম

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মানিকপুর বন বিহার থেকে বয়ে আসা খরস্রোতা মনু নদীর প্রায় ৩১ স্পটকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে ১৪টি স্পট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে ঘন ঘন বৃষ্টিপাত হলে মনু নদীর তীরবর্তী মানুষের ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোতে বন্যা শুরুর আগেই মেরামত কাজ শুরু করবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘোষনা দিলেও তা এখনো শুরু হয়নি। মনু নদীর পারে মেসার্স আরাধনা এন্ড মুন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির লোকজন শুধু মনু নদীর কয়েকটি স্পটে বস্তায় বালু ভরে ফেলে রাখতে দেখা যায়। গত ২০-২১ অর্থ বছরে ২১ জুন জাতীয় নির্বাহী কমিটি(একনেক)’র বৈঠকে মনু নদী ভাঙ্গন রোধে ৯৯৬ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। কিন্তু বর্ষাকাল চলে আসলেও কাজের ধীরগতি দেখে হতাশ স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই প্রকল্পের কাজ পর্যায়ক্রমে চলতি বছরের জুন মাস থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো কাজের অগ্রগতি তেমন নেই বললেই চলে।
জানা যায়,জেলার কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী প্রতিবছর প্রবল স্রোতে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে লন্ডভন্ড করে দেয় জনপদ। প্রতি বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বর্ষাকাল চলমান থাকে। ফলে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে ভারী বৃষ্টিপাত এবং নদীর পানি বাড়লেই মানুষের মধ্যে ভাঙ্গন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
মনু নদী তীরের বাসিন্দা কাউকাপন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিধান চন্দ্র দে ও সাবেক মেম্বার মোশাহীদ আলী জানান, ২০১৮ সালের সৃষ্ট ভাঙ্গনে প্রায় শতাধিক দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা দোকান ঘর হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে ৪০ জন দোকান মালিক ভিটেমাটি হারান। তাছাড়া রাস্তার বেশির ভাগ অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয় বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী আল আমিন শিকদার জানান, বর্তমানে মনু নদী কুলাউড়া অংশে ঝুঁকিপুর্ন সাড়ে ৪৫০ মিটার স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ নদীর গভীরে ফেলে ডাম্পিং কাজ শুরু করা হচ্ছে। ব্লক তৈরি এবং অন্যান্য কাজ বৃষ্টির জন্য ঠিকাদাররা আপাততো করতে চাচ্ছে না। সামনে শুষ্ক মৌসুম আসা মাত্র ডিজাইন অনুযায়ী ব্লক তৈরি করে নদীর বাঁধ রক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করা হবে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে মনু নদীর বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদ রয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হয়ে গেলেও ডাম্পিং এর কাজ এখনো মনু নদীতে শুরু হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কিছু নিয়ম রয়েছে। নিয়মের বাহিরে আমরা কাজ শুরু করতে পারি না। ঢাকা থেকে ট্রার্সফোর্সের সদস্যরা আসবে কমিটি করে কাজ শুরু হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙ্গন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ