Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রোটিয়াদের জয়ে সিমির ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচটা ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেই বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ এক জয়ে সিরিজ জমিয়ে তুলে আইরিশরা। সিরিজ হার ঠেকাতে তাই তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না প্রোটিয়াদের। গুরুত্বপ‚র্ণ ম্যাচে প্রত্যাশিত জয় মিলেছে তাদের। দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি ককের জোড়া সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েই সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে তারা। গতপরশু ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডকে ৭০ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় তারা। জবাবে ১৭ বল বাকি থাকতে ২৭৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

এদিন আইরিশদের লক্ষ্য ছিল বিশাল। সে লক্ষ্য তাড়ায় প্রয়োজন ছিল উড়ন্ত স‚চনা। আগের ম্যাচের সুখস্মৃতি থেকে প্রত্যাশাটা এমনই ছিল। কিন্তু ৯২ রান করতেই টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যান সাজঘরে। তাতেই সব আশা যেন শেষ হয়ে যায় দলটির। এরপর এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন সিমি সিং। অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে দলকে জয়ের স্বপ্নও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে বৃথা যায় তার সব চেষ্টা। সপ্তম উইকেটে অবশ্য সিমিকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছিলেন কার্টিস কামফার। তার সঙ্গে ১০৪ রানের জুটিতে প্রত্যাশা বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু কামফার বিদায় হলে কার্যত শেষ হয়ে যায় তাদের আশা। পরে এক প্রান্ত আগলে রেখে ছোট ছোট জুটিতে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন সিমি। ক্রেইগ ইয়ংয়ের সঙ্গে শেষ উইকেট জুটিতেও আসে ৪৭ রান।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন সিমি। আটে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নাম লিখয়েছেন ইতিহাসেই। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৯১ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে এ রান করেন এ অলরাউন্ডার। কামফারের ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। ৫৪ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আন্দিল ফেলুকাওয়ো ও ট্যাবরেইজ শামসি।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত স‚চনা পায় আফ্রিকা। ম‚লত দুই ওপেনারই দলের বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার। ওপেনিং জুটিতেই আসে ২২৫ রান। এরপর ওপেনিং জুটি ভাঙলেও এক প্রান্ত আগলে মালানের ব্যাটে আয়ারল্যান্ডকে বিশাল লক্ষ্যই ছুঁড়ে দেয় প্রোটিয়ারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭৭ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মালান। ১৬৯ বলের এ ইনিংসটি খেলতে ১৬টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা মারেন এ ওপেনার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ার ১৬তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি ককও। ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়ে ৯১ বলে খেলেন ১২০ রানের ইনিংস। ১১টি চার ও ৫টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আইরিশদের পক্ষে ৫৩ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান জশ লিটল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিমির ইতিহাস
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ