Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রংপুরে জমজমাটভাবে চলছে পশুর হাট: স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই কোথাও

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২১, ৭:১৫ পিএম

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কঠোর লকডাউন শিথিল হওয়ায় রংপুর জেলায় ৩৫টি হাটে কোরবানীর পশু কেনা-বেচা চলছে। কোরবানীর আর মাত্র ৩ দিন বাকি থাকায় এসব পশুর হাট জমে উঠেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিটি হাটেই জমজমাটভাবে কোরবানির পশু কেনা-বেচা চলছে। তবে এসব হাটের কোনটাই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না লোকজন। এতে করে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার ও শনিবার দু’দিন একাধিক পশুর হাট ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। পরিদর্শনকালে এসব হাটে আগতদের ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশের মাঝেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। ফলে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই এসব হাটে কোরবানীর পশু কেনা-বেচা চলছে। সামাজিক দুরত্বের কোন বালাই নেই। প্রায় প্রতিটি হাটেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। লোকে লোকারণ্য হাটগুলোতে আগত লোকজনের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই। যদিও কার আছে, সেটা থুতনিতে ঝুলানো। সরকারি নির্দেশ মতে হাটের প্রবেশ দ্বারে হাত ধোয়ার জন্য সাবান পানি রাখার কথা থাকলেও অধিকাংশ হাটগুলোতেই তা রাখা হয়নি। সচেতনতামূলক কোন প্রচারণা চলানো হচ্ছে না।

এদিকে, হাটগুলোতে কাঙ্ক্ষিত দামে গরু বেচা-কেনা করতে না পারায় অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে হতাশার ছাপ দেখা গেছে। কিন্তু কারো মাঝে করোনা ভীতি লক্ষ্য করা যায়নি। প্রতিটি হাটেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই গরু ক্রয় করতে আসছেন। স্থানীয়ভাবে লালন করা মাঝারী ধরনের দেশীয় জাতের এঁড়ে গরুগুলোর দাম তুলনামুলকভাবে বেশি। প্রায় প্রতিটি হাটেই গরুর দাম মোটামুটি চড়া। তবে মাঝারী ধরনের এসব দেশী গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অভিযোগে জানা গেছে, প্রশাসনের তদারকি না থাকায় প্রায় প্রতিটি পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির না থাকায় ইজারাদাররা ইচ্ছেমত টোল আদায় করে চলেছেন। এক প্রকার ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছেন তারা। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই দিতে হচ্ছে টোল। হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কোন হাটেই সরকার নির্দেশিত টোলের হার উল্লেখ করা নেই। ফলে সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রতিটি হাটেই ইচ্ছে মত টোল আদায় করা হচ্ছে। বিভিন্ন দফতর ও স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করেই এভাবে টোল আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন, একটি গরু বিক্রি হলে বিক্রেতার নিকট থেকে তিনশ’ টাকা ও ক্রেতার নিকট থেকে সাতশত টাকা আদায় করা হচ্ছে। বড় গরু হলে দেড়গুন থেকে দ্বিগুণ টোল নেয়া হচ্ছে। এছাড়া একটি ছাগল বিক্রি হলে বিক্রেতার নিকট দুইশ টাকা এবং ক্রেতার নিকট থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। ফলে ক্রেতা বিক্রেতারা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন হাটগুলোতে।

এ ব্যাপারে ইজারাদারদের কথা হলে তারা জানান, অনেক দামে হাট ইজারা নেয়া হয়েছে। হাট বন্ধ থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই একটু বাড়তি টোল নেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রংপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ