মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : একইসঙ্গে ইসলামাবাদ ও দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। জঙ্গি দমনে হয় ভারতের সঙ্গে থাকতে হবে, না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে। মস্কোর দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা যে ভারত ভালোভাবে দেখছে না চিঠিতে তাও উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া জঙ্গি দমনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তাতে একমত হতেও রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে মস্কোকে লেখা এক চিঠিতে এসব কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে মোদি সরকারের ওপর দেশের ভেতরে যে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে তাতে সবদিক বিবেচনায় নিয়ে দিল্লি মস্কোর সঙ্গে সমঝোতা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। উল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তানের এক সেনা কর্মকর্তা টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে বলেন, পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে পাকিস্তান ও রাশিয়ার সেনারা যৌথ অভিযান চালাবে। এরপরই শুরু হয় জল্পনা।
প্রশ্ন ওঠে, জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে রাশিয়া সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করার পরও কেমন করে এই অভিযানে যোগ দিচ্ছে? যদিও সেদিনই রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানের তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। পাক সেনা কর্মকর্তা যে তথ্য পরিবেশন করছেন তা অসত্য। তবে রাশিয়ার এই মন্তব্যে ভারতের মন গলেনি। বরং মস্কোকে লেখা চিঠিতে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, একইসঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চললে তা ভালোভাবে নেবে না দিল্লি।
খবরে বলা হয়, কাশ্মীরের উরিতে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহল কার্যত দ্বিধাবিভক্ত। একদিকে আমেরিকা, ব্রাজিল বা ব্রিটেনের মতো দেশগুলো যেমন ভারতের পাশে রয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান পাশে পেয়েছে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ চীনকে। ফলে এই পরিস্থিতিতে ভারত চাইছে, বরাবরের বন্ধু দেশ রাশিয়ার সঙ্গে যেন কোনো ভূল বোঝাবুঝি না হয়। কারণ, সামরিক অস্ত্র কেনার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক যথেষ্টই ইতিবাচক। সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন কোম্পানি রাশিয়া থেকে সরাসরি হীরা কেনা শুরু করেছে। ফলে পাকিস্তান ইস্যুতে যদি এই সম্পর্কে কোনো চিড় ধরে, তাহলে তা দুই দেশের পক্ষেই খারাপ হবে। কে-২৪ নিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।