বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর শ্যামপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন সরকার হত্যা মামলায় মো. জসিম উদ্দিন খানের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজধানীর শ্যামপুরের রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নিজ মালিকানাধীন তমা হোটেলে (সুইট, ফাস্টফুড অ্যান্ড মিনি চাইনিজ) ২০০৮ সালের ১৩ আগস্ট সকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন ফরিদউদ্দিন সরকার। এ ঘটনায় ফরিদের স্ত্রী সুরাইয়া খানম শ্যামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সন্ত্রাসী রোজেনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। আর জসিমকে গ্রেফতার করা হয় ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি। পরে রোজেন ক্রসফায়ারে নিহত হন। পরবর্তী সময়ে তদন্ত শেষে পুলিশ রোজেন গ্রæপের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলায় বিচার শেষে ২০১০ সালের ২৮ এপ্রির ঢাকার আদালত এক রায়ে জসিম ও কামাল হোসেন ওরফে বিপ্লব ওরফে পাভেলকে মৃত্যুদন্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাকির, রনি আহমেদ, রাজিব শেখ ওরফে ইব্রাহিম এবং তোফাজ্জলকে খালাস দেয়া হয়। তবে এ রায়ের আগেই কামাল জামিন নিয়ে পালিয়ে যান।
রায়ের পর বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। আর কারাবন্দি জসিম আপিল করেন। উভয় আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল এক রায়ে জসিম ও কামালের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আবারো সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন জসিম। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ জসিমের ফাঁসি বহাল রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।