বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনার মহামারির মধ্যেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে বেড়েছে আমদানি বানিজ্য। ২০১৯-২০ বছরের তুলনায় গেলো ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন পণ্য বেশি আমদানি হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২১ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ৬০৬ মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৫ লাখ ১৯ হাজার ২২০ দশমিক ৮৪ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯৭ দশমিক ৯৩ মেট্রিক টন। কাস্টম কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা। তারা বলছেন, উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি কমে গেছে। কাস্টম হাউসের ব্যপক কড়াকড়ির কারণে অনেক আমদানিকারক বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করছেন না। বন্দরের সক্ষমতা বাড়ালে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়বে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, দেশের সব কাস্টম হাউসে একই দেশ থেকে আমদানি করা পন্যের শুল্কায়ন মূল্য এক থাকলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয় বাড়বে।
হিলি, সোনামসজিদ ও ভোমরা কাস্টম স্টেশনে বেনাপোলের চেয়ে অধিকাংশ আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন মুল্য অনেক কম। বেনাপোল বন্দরে পন্যের শুল্কায়ন মূল্য বেশী হওয়ায় তারা ঐসব বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করছে। বন্দরে পন্যের ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার মে. টন। সেখানে পণ্য রাখা হচেছ দেড় লাখ মে.টন। জায়গার অভাবে পণ্য খালাস করতে না পেরে ভারতীয় ট্রাক বন্দরের টার্মিনালে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকছে। খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে মূল্যবান পণ্য সামগ্রী পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের ডিরেক্টর আব্দুল জলিল জানান, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে। আমদানি পণ্যের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। এসব কার্যক্রম চালু হলে এ বন্দর দিয়ে আমদানির সঙ্গে রাজস্বও বাড়বে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, গেলো অর্থবছরে উচ্চ শুল্কহারের পণ্য আমদানি কমে গেছে। কম শুল্কহারের পণ্য বেশি আমদানি হয়েছে। যার মধ্যে চাল অন্যতম। তারপরও বিগত বছর গুলোর তুলনায় রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৫৭ শতাংশ বেশি হয়েছে। করোনা মহামারি স্বাভাবিক হলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।