Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ায় ভুট্টাখেত থেকে মৃত স্কুলছাত্রীর প্রেমিক গ্রেপ্তার, পুলিশ সুপারের ব্রিফিং

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২১, ৮:০৫ পিএম

কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্রীর (১৪) ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নৃশংসভাবে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি তার শরীর পোড়ানোও হয়েছে। গলায় রশি প্যাঁচানো ছিল।

আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশটির ময়নাতদন্ত করেন মেডিকেল অফিসার রুমন রহমান ও সুতপা রায়। আজ সকাল ১০টা ২৫ মিনিট থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়ে শেষ হয় ১০টা ৪০ মিনিটে। তাঁরা বলছেন, কিশোরীকে ধর্ষণও করা হয়ে থাকতে পারে। কিছু বিষয় লক্ষ করা গেছে। মর্গের সামনে ওই ছাত্রীর মামা বলেন, তাকে হয়তো প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে কারও কোনো সম্পর্ক ছিল না। গতকাল সকালে বাড়ির দরজার সামনে থেকে হাতের একটি ব্রেসলেট পাওয়া গেছে। সেটি পুলিশ নিয়ে গেছে। তারা এ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

গতকাল বুধবার বেলা তিনটায় কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক সড়কের মিরপুর পৌরসভার ভাঙাবটতলা এলাকায় একটি ভুট্টাখেত থেকে ওই স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাড়ি মিরপুর পৌর এলাকায়। সে স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

বুধবার (১৪ জুলাই) মামলা করার চার ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টায় ব্রিফিং করেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার এই হত্যাকাণ্ডকে লোমহর্ষক উল্লেখ করে বলেন, আসামিকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলামত জব্দ করা হয়েছে। বিশেষ করে যে চাকু দিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেটিও জব্দ করা হয়েছে। ছেলেটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষে আর মেয়েটি নবম শ্রেণিতে পড়তেন। তাদের প্রেম ছিল। মেয়েটি বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে ছেলের বাড়ি থেকে রাজি হয়নি। এই চাপের মধ্যেই মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) গভীর রাতে ওই তরুণী বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের কাছে চলে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কলেজছাত্র প্রেমিক আপন পুলিশকে জানিয়েছে, প্রথমেই ওই মেয়েকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। সে বাড়ি যেতে চায়নি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। মানুষজন জানার আগেই ভয়ে তাকে নিয়ে মাঠের মধ্যে চলে যান। এরপর সে চাকু দিয়ে গলা কেটে ফেলে। চাকু ভেঙে গেলে রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে ভাঙা বটতলার কাছে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর থেকে তরুণীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

পুলিশ বলেছে, এখন পর্যন্ত ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুষ্টিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ