নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন খুলনার ক্রীড়াঙ্গনের অতি প্রিয় মুখ, সকলের কাছে প্রিয় ওস্তাদ হিসেবে পরিচিত কাজী আব্দুস সাত্তার কচি। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন।
গত মঙ্গলবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় তাকে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। আজ বাদ এশা বসুপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে বসুপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আব্দুস সাত্তার কচির ক্যারিয়ার : আব্দুস সাত্তার কচি একাধারে সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার, জাতীয় লীগের খুলনার প্রথম শিরোপার কোচ, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের সাবেক ভেন্যু ম্যানেজার ছিলেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে খুলনার সিনিয়র ডিভিশন ক্রিকেট খেলেন তিনি। খুলনার জেলা ও বিভাগীয় দলেরও নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। এমসিসি'র বিপক্ষে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ প্রথম কোন ফাস্ট ক্লাস স্বীকৃত ম্যাচ খেলে। যশোরে হওয়া এই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে তিনি উপমহাদেশের অন্যতম ক্রীড়া শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম ভারতের পাতিয়ালা থেকে ক্রিকেট কোচিংয়ের উপর ইন্দিরা গান্ধী স্কলারশীপ নেন। ২০০৩ সালে জাতীয় লিগে খুলনা বিভাগের কোচ ছিলেন আব্দুস সাত্তার কচি। তার হাত ধরেই ওই বছর জাতীয় লিগে প্রথম শিরোপা জয় করে খুলনা। ২০০৪ সালে দায়িত্ব নেন খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের। তার হাত ধরেই এই স্টেডিয়াম পায় আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের স্বীকৃতি। তার হাত ধরেই এই স্টেডিয়াম পায় টেস্ট ভেন্যুর মর্যাদাও। এই ভেন্যুতে তার হাত ধরেই বাংলাদেশ প্রথম কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে। টানা ১৫ বছর শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামকে আগলে রেখে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে অবসর নেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।