নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বেঙ্গালুরে ভারতের বিপক্ষে জয়ের সুবাস পেতে পেতে ম্যাচ হাতছাড়া করার অতীত খুব বেশি দিন আগের নয়। মাত্র ৬ মাস আগের ঘটনা। ৩ বলে ২ রানের সেই সহজ টার্গেট পাড়ি দিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। মনস্তাত্তি¡ক লড়াইয়ে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ডিপ মিড উইকেটে মাহামুদুল্লাহ’র দেখা দেখি পরের বলে একই পজিশনে দিয়েছেন ক্যাচ মুশফিকুর রহিম। সেই বাংলাদেশই গত পরশু হাতের মুঠো থেকে ফসকে যাওয়া ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৭ রানে। মনস্তাত্তি¡ক লড়াইয়ে জিতেছে বাংলাদেশ। বড় দলে পরিণত হওয়ার লক্ষণ এটাই, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মাহামুদুল্লাহ’র মুখ থেকে বেরিয়েছে তা। মাহামুদুল্লাহ’র সাক্ষাতকারের চৌম্বক অংশ পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা হলো।
ষ ম্যাচটি হাতছাড়া হচ্ছে, কখনোই মনে হয়েছিল?
মাহামুদুল্লাহ : যখন ওরা ভাল একটা পার্টনারশিপ করছিল, তখনো বিশ্বাস করছিলাম, এক দু’টি উইকেট ফেলে দিতে পারলে আমরা কামব্যাক করতে পারব। আমরা তা পেরেছি।
ষ তাসকিন, রুবেল দু’জনই কামব্যাক করেছেন। শেষ তিনটি ওভার ওই দুই বোলারকেই দায়িত্ব দেয়া হলো। তখন কি মনে হয়েছে ওরা পারবে?
মাহামুদুল্লাহ : মাশরাফি ভাইয়ের শেষ স্পেলের তিন ওভার এবং সাকিবের ৪৭তম ওভারটা খুব ক্রুশিয়াল ছিল। কারণ সাকিবের ওই ওভার থেকে মাত্র একটা রান পেয়েছে তারা। ওই ওভারের পর আস্কিং রান রেট ৯ এর উপর চলে যায়। এরপর আমার বিশ্বাস ছিল রুবেল ও তাসকিনরা যদি ইয়র্কারগুলো দিতে পারে, তাহলে আমরা ম্যাচে ফিরতে পারব। একই সাথে ওই সময় উইকেটও আমরা তুলেছি। ওইদিক থেকে আমরা এগিয়ে গিয়েছি বলে আমি মনে করি।
ষ আপনার নিজের ব্যাটিংটা নিয়ে কি মনে হয়, যেভাবে খেলছিলেন মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরি পেয়ে যেতে পারতেন?
মাহামুদুল্লাহ : সত্যি বলতে কি, তখন সেঞ্চুরির কথা চিন্তা করছিলাম না। তখন উইকেট খুবই ভাল আচরণ করছিল, বল খুবই সুন্দর ব্যাটে আসছিল। তাই যতটা রান বাড়ানো যায়, সেদিকেই মনোযোগ ছিল। কারণ শেষ পাওয়াল প্লে হাতে ছিল। ৪০ ওভারের পর ওরা আরেকটা ফিল্ডার বাইরে পেত। ৪৮তম ওভার পর্যন্ত যদি আমি থাকি তাহলে বিগ শটে যাব, এটাই চিন্তা করেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা করতে পারিনি। ২৮০ প্লাস স্কোর হতে পারতো, সেখানে ২০ রান কম করেছি। আমার আর সাকিবের পার্টনারশিপটা ভাল হচ্ছিল। তো আরেকটু মনোযোগী থাকলে হয়তো আমরা যে ২০/২৫ রান কম করেছি, তা হতো না।
ষ ১০ মাস পর খেলা কতটা কঠিন?
মাহামুদুল্লাহ : কঠিন নয়। তবে আমরা যদি সবসময় খেলতে থাকি তাহলে একটা ছন্দ থাকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিটনেস ভিন্ন বিষয়। ওই বিষয়গুলো কাটিয়ে উঠে আমরা পরবর্তী ম্যাচে আরও ভাল করতে পারব এবং আরও ভালভাবে আমরা ফিরব।
ষ সহযোগী সদস্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে এমন পরিস্থিতিতে পড়লে কি ধরনের চাপ তৈরি হয়?
মাহামুদুল্লাহ : আমার কাছে মনে হয় যে ভাল দল হিসেবে আমাদেরই জেতা উচিত। যদি র্যাঙ্কিং তুলনা করেন, যথেষ্ট সম্মান দিয়েই বলতে চাই আফগানিস্তান ভাল দল। যেহেতু প্রথম ম্যাচ ১০ মাস পর, তো যেটা আগে বললাম যে ভালভাবে আমরা কামব্যাক করে আরও ভালভাবে কি করে পারফর্ম করা যায় সেদিকটায় মনোনিবেশ করব। সিরিজটা যাতে পরবর্তী ম্যাচে আমরা নিশ্চিত করতে পারি সেটাই চেষ্টা করব।
ষ এই ম্যাচে কি সমস্ত দুর্বলতা দেখলেন?
মাহামুদুল্লাহ : ফিল্ডিংয়ে একটু অস্বস্তিকর অবস্থা ছিল। আজ বেশ কিছুক্ষণ ফিল্ডিং ড্রিলও করলাম।
ষ এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আগে হেরেছে, এবার হারলো আফগানিস্তান। আপনার কি মনে হয় এটা বড় দল হয়ে ওঠার একটা লক্ষণ?
মাহামুদুল্লাহ : আমি বলব, হ্যাঁ। আমরা এমন অনেক ক্লোজ ম্যাচে খুব কাছাকাছি যেয়ে হেরেছি। ছোট ছোট ভুলের কারণে কাছে গিয়েও হেরে যেতাম। আস্তে আস্তে আমাদের মধ্যেও পরিবর্তনটা গড়ে উঠছে।
ষ চার নম্বরে ব্যাট করে স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন তাহলে?
মাহামুদুল্লাহ : এটা নির্ভর করে দলের ওপর, দল আমার কাছ থেকে কি চায়। তবে এই মুহূর্তে চার নম্বরে ব্যাট করছি এবং বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। তবে দল যেখানে চাইবে সেখানেই ভাল পারফর্ম করতে চেষ্টা করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।