Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামে সৌন্দর্য ও রুচিবোধের গুরুত্ব

মোঃ আবদুল গনী শিব্বীর | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

ইসলাম কেবল ধর্মের নাম নয় বরং পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম। জীবন সংক্রান্ত সকল বিষয়ে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ইসলামে রয়েছে সৌন্দর্য ও রুচিবোধের দারুন এক সমন্বয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবন, সুরুচির অনুপম অনুশীলন সত্যিই ইসলামকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন ব্যবস্থার আসনে সমাসীন করেছে। এককথায় মানুষের আচার আচরণ, জীবন ধারণের বৈচিত্রতা, খাবার দাবারসহ সব কিছুতেই রয়েছে সৌন্দর্য ও রুচিবোধের সমন্বয়। ইসলাম ‘ফিতরাত’ তথা রুচির ধর্ম, ইসলাম ‘হুসন জামালাত’ এর ধর্ম। ইসলাম ধর্মে ব্যক্তির জীবনে সৌন্দর্য চর্চা ও রুচিবোধের গুরুত্ব অপরিসীম।

ইসলাম ধর্মে ব্যক্তি জীবনের বাহ্যিক কিংবা আভ্যন্তরিক সকল প্রকারের সৌন্দর্য ও রুচিবোধের গুনাগুন বা বৈশিষ্টাবলী অর্জনের ব্যাপারে বেশ তাগিদ দেয়া হয়েছে। মানুষের আভ্যন্তরিন অন্তর আত্মা ও দৃষ্টিভঙ্গি যদি সুন্দর বা পরিচ্ছন্ন বা রুচিকর না হয় তাহলে বাহ্যিক সৌন্দর্য মূল্যহীন হয়ে পড়ে। একজন দেহাবয়বে সুন্দর ব্যক্তির মন মানসিকতা যদি নিচু হয়, তার কথাবার্তা যদি কর্কশ হয়, তার আচরণ যদি হিংস্র কিংবা নিকৃষ্ট পশুর আচরণের মতো হয়, যদি তার মধ্যে মানবীয় আচার আচরণের বিপরীতে দানবীয় আচার আচরণ প্রকাশ পায়, পোশাক পরিচ্ছেদে নোংরামি প্রকাশ পায়, খাবার দাবার গ্রহণেও অভদ্রতা প্রকাশ পায় তাহলে সুন্দর দেহ কিংবা সুন্দর চেহাররার মানুষের এ রকম রুচিকে কেউই সুরুচি বলবেনা। অপরিচ্ছন্ন জীবন যাপনে অভ্যস্ত ব্যক্তির জীবন ধারণের অনাকাঙ্খিত এ অসুন্দর অভ্যাসকে কেউই ‘সৌন্দয্য’ বা ‘রুচিবোধ’ বলবে না। সকলেই এরকম লোকদেরকে ভৎসনা করবে, ঘৃণা করবে, উপেক্ষা করবে। প্রকাশ্যে না হোক অগোচরে হলেও সবাই একথায়ই বলবে ‘এ লোকের রুচিবোধের অভাব রয়েছে, এ লোক খবিস প্রকৃতির, এ লোকের মানসিকতা অতি নিচু ও নিম্মমানের, এ লোক মানব সমাজে তথা ভদ্র সমাজে বসবাস কিংবা চলাচলের অনুপযুক্ত।

ইসলাম ব্যক্তির বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিক জীবনে সৌন্দর্য্য অর্জন, সুরুচির অনুশীলন, সর্ববস্থায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর অটল থাকার ব্যাপারে জোর তাগিদ দিয়েছে। পবিত্র কুরআন ও সহীহ সুন্নাহয় স্পষ্ট ও সুনিপুন ভাষায় এ সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তওবাকারীকে ভালবাসেন এবং যাহারা পবিত্র থাকে তাহাদেরকেও ভালবাসেন। (সুরা আল বাকারাহ: আয়াত: ২২২)। তিনি আরো বলেন, ‘হে মু’মিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হইবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করিবে এবং তোমাদের মাথা মসেহ্ করিবে এবং পা গ্রন্থি পর্যন্ত ধৌত করিবে; যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হইবে। তোমরা যদি পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেহ শৌচস্থান হইতে আসে, অথবা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে সংগত হও এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করিবে এবং উহা দ্বারা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত মাসেহ্ করিবে। আল্লাহ্ তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না ; বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করিতে চান ও তোমাদের প্রতি তাঁহার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিতে চান; যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।’ (সুরা আল মায়েদা: আয়াত: ০৬)। সত্যিকার অর্থে ইসলাম তার অনুসারীদের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিকভাবে সৌন্দর্যমন্ডিত করতে চায়, পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন জীবনে অভ্যস্ত করতে চায়। ইসলামের নির্দেশনা অনুসারে আমরা জানতে পারলাম যে, তাওবা আভ্যন্তরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে আর পবিত্রতা ব্যক্তির বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, ব্যক্তিকে দেহমনে পরিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন করে সর্বোপরী ব্যক্তিকে আল্লাহর পরম প্রিয় করে তোলে।

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট ধর্ম ইসলাম, যা মানবজাতির জন্য রহমত। কেবল বিশ্বাসীদের জন্য নয়, বরং বিশ্বাসী অবিশ্বাসী সকলের প্রতিই ইসলামের সৌন্দর্য ও রুচিবোধে অর্জন ও অনুশীলনের নির্দেশনা। ইসলাম ব্যক্তির বাহ্যিক পোশাক পরিচ্ছদে সৌন্দর্য প্রকাশ ও রুচির সমন্বয়কে দারুনভাবে উৎসাহ প্রদান করেছে। পবিত্র কুরআনে এসেছে, আল্লাহপাক বলেন, ‘ তোমার পোশাক পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ।’ (সুরা আল মুদ্দাসসির: আয়াত: ৪)। তিনি আরো বলেন, ‘হে মানবজাতি! আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দোষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্যেরও উপকরণ। বস্তুত তাকওয়ার যে পোশাক সেটাই সর্বোত্তম। এসব আল্লাহর নির্দেশনাবলির অন্যতম, যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে। (সুরা আল আরাফ: আয়াত: ২৬)। হাদিস শরিফে এসেছে : ‘আল্লাহ সুন্দর। তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৯১)। ইসলামী শরীয়াতে নারী পুরুষের পোশাক পরিচ্ছদের সুনির্দিষ্ট বিধি বিধান রয়েছে, সে মোতাবেক নারী পুরুষের পোশাক ও পরিচ্ছেদের মাধ্যমে রুচিবোধ ও সৌন্দর্য প্রকাশ করা। উল্লেখ্য যে, পোশাকের মাধ্যমে আভিজাত্য প্রকাশের নামে অশ্লীলতার প্রচার প্রসার কিংবা অপচয় করা কিংবা অহংকার প্রদর্শন করা, এসব কিছুকে ইসলাম হারাম তথা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরীফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘বিলাসিতা পরিহার করো। আল্লাহর নেক বান্দারা বিলাসী জীবন যাপন করে না।’ (মুসনাদে আহমাদ: হাদিস : ২২১০৫)। তিনি আরো বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে প্রসিদ্ধির পোশাক পরবে আল্লাহ তায়লা কেয়ামতের দিন তাকে লাঞ্ছনার পোশাক পরাবেন। অতঃপর তাকে অগ্নিদগ্ধ করা হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: হাদিস: ৪০২৯)। হাদিস শরিফে আরো এসেছে, রাসুল (সা.) অভিসম্পাত করেছেন ওই পুরুষকে যে নারীর পোশাক পরে এবং ওই নারীকে যে পুরুষের পোশাক পরে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৯৮)। মূলতঃ এ হাদিসের মাধ্যমে অশ্লীলতার ধারক বাহকদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।

ব্যক্তিজীবন সম্পর্কিত এমন কিছু হাদিস রয়েছে যেগুলোতে সত্যিকার অর্থে ব্যক্তিক সৌন্দর্য ও রুচিবোধ স্পষ্ট হয়েছে। প্রখ্যাত সাহাবী রাবীকুলের শিরোমনি হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন: ‘স্বভাবজাত বিষয় ৫ টি। খাতনা করা, নাভীর নীচের লোম পরিষ্কার করা, গোঁফ খাটো করা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়িয়ে ফেলা।’ (সহীহ বুখারী: হাদিস: ৫৮৯১, সহীহ মুসলিম: হাদিস: ২৫৭)। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন: ১০ টি বিষয় স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত। গোঁফ খাটো করা, দাঁড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেয়া, নখ কাটা, অঙ্গের গিরাসমূহ ঘষে মেজে ধৌত করা, বগলের পশম উপড়িয়ে ফেলা, নাভীর নীচের পশম পরিষ্কার করা, মলমূত্র ত্যাগের পর পানি ব্যবহার করা তথা ইসতিনজা করা। যাকারিয়া বলেন, মাস‘আব বলেছেন: আমি দশ নম্বরটি ভুলে গেছি। সম্ভবতঃ তা হলো কুলি করা। (সহীহ মুসলিম: হাদিস:২৬১, সুনানে আবি দাউদ: হাদিস: ৬১, সুনানে ইবনে মাজাহ: হাদিস: ২৯৩)। এ হাদিস দুটির পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, যে দশটি বিষয় উল্লেখ রয়েছে তা ব্যক্তির জন্য সৌন্দর্য ও রুচিবোধের অন্যতম নিয়ামক। প্রত্যেক ব্যক্তি যদি নিয়মিত এ দশটি আমল যথাযথভাবে পালন করে তাহলে ঐ ব্যক্তির পোশাকের আভ্যন্তরিণ জীবন কত যে সুন্দর ও রুচিকর তা সহজেই বোধগম্য। ইসলাম সত্যিকার অর্থে তার সকল অনুসারীকে এদশটি ফেতরাতের উপর আমলের নির্দেশনা দিয়েছে।

মানুষের চালচলনে, কথাবার্তায় সৌন্দর্য ও রুচিবোধ ফুটে উঠে। একেবারে দ্রুতবেগে হাঁটা, কিংবা কুঁড়ো বুড়োর মতো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটা, অথবা হেলে দুলে হাঁটা এগুলো সুরুচি নয় বরং দৃষ্টিকটু। অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত জামাকাপড় নাড়াচাড়া করা, এদিক ওদিক তাকানো, অপ্রয়োজনে বকবক করা, যত্রতত্র নিজেকে পন্ডিত জাহির করা, বাচালতা প্রকাশ করা, যত্রতত্র আঞ্চলিক ভাষার অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, যত্রতত্র মলমুত্র ত্যাগ করা, ধুমপান কিংবা পানজর্দা চিবিয়ে পানের পিক যত্রতত্র ফেলা, যত্রতত্র থুথু কফ ফেলা, কথায় কথায় রাগ করা, কাউকে ভৎসনা করা, কারো সাথে মারমুখী আচরণ করা কিংবা অশ্লীল গালমন্দ করা, এসবগুলো একবারেই দৃষ্টিকটু শ্রুতিকটু অসুন্দর ও অরুচিকর। ইসলাম এসব বিষয়ে তার সকল অনুসারীকে সতর্ক করে নির্দেশনা দিয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছে, প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যার জিহবা ও হাত থেকে অন্য মুসলিমরা নিরাপদ, সে-ই প্রকৃত মুসলিম। আর যে আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো পরিত্যাগ করে, সে-ই প্রকৃত হিজরতকারী। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)। অপর হাদিসে এসেছে, প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ, রাবিকুলের শিরোমনি হযরত আবু হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যার জিহবা ও হাত থেকে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে সে ব্যক্তিই প্রকৃত মুসলিম। আর যাকে মানুষ তাদের জান ও মালের জন্য নিরাপদ মনে করে সে-ই প্রকৃত মুমিন। (মিশকাতুল মাসাবিহ: হাদিস: ৩৩, সিলসিলাতুস সহীহাহ: হাদিস: ৫৪৯)। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলে কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে নীরব থাকে সে মুক্তি পায়’। (সুনানে তিরমিজি: হাদিস: ২৫০১)। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়, মেহমানের সম্মান করে এবং কথা বলার সময় উত্তম কথা বলে অথবা চুপ করে থাকে। (সহিহ বোখারি: হাদিস: ৬০১৮)। অশ্লীল ও কটুবাক্য, মিথ্যা অপ্রোজনীয় ও অতিরিক্ত কথা যারা বলে তাদের অধিকাংশের মধ্যে মুনাফেকির আলামত বিদ্যমান। আর মুনাফেকরা সবচেয়ে বড় অভদ্র ও অরুচির ধারক বাহক। তাদের সম্পর্কে হাদীসে এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, মুনাফিক চেনার লক্ষণ হলো: চারটি। সেগুলো হলো- ক. যে কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলে, খ. ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে, গ. তার কাছে কোনো জিনিস আমানত রাখলে খেয়ানত করে এবং ঘ. ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল গালিগালাজপূর্ণ শব্দ বলে। (সহিহ বোখারি: হাদিস: ৩৪)। হযরত উম্মে কুলসুম (রা.) বর্ণনা করেন, তিনি আল্লাহর রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছেন, সে ব্যক্তি মিথ্যাচারী নয়, যে মানুষের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য উত্তম কথা পৌঁছে দেয় অথবা সুন্দর কথা বলে। (সহিহ বোখারি: হাদিস: ২৬৯২)।

পরিশেষে, মহান আল্লাহপাক আমাদের সকলকে ভালো আচার আচরণ পালন, সুন্দর আখলাক ও উত্তম রুচিবোধ সম্পন্ন হবার তাওফিক দান করুন। আমীন।

লেখকঃ মুহাদ্দিস, নোয়াখালী কারামাতিয়া কামিল মাদরাসা, সোনাপুর, সদর, নোয়াখালী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ