বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনায় করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। লকডাউন, কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান-কোন কিছুই যেন পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছে না। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণের উর্ধগতির প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করছেন সাধারণ মানুষের অসচেতনতা ও উদাসিনতাকে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩২০ জন। সোমবার আক্রান্ত হন ৩৪২ জন। রোববার ৪৩১ জন। গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্তের হার ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশে উঠানামা করছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় গত এক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের হার ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ রয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ডা. মেহেদি নেওয়াজ জানান, সোমবার শনাক্তের হার ছিল ৫৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। রোববার ছিল ৫০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এর আগেরদিন শনিবার ৫৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি দুইটি নমুনার মধ্যে একটি পজিটিভ।
খুলনা সিভিল সার্জন বলেন, মূলত অসচেতনতা ও উদাসিনতার কারণেই খুলনায় করোনা বাড়ছে। মানুষ প্রয়োজনে যেমন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে, অপ্রয়োজনেও বের হচ্ছে। তাছাড়া, করোনার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পরও চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হয়ে নিজে নিজে ওষুধপত্র খেয়ে রোগীরা পরিস্থিতি আরো জটিল করে ফেলছে। করোনা রোগীরা হোম কোয়ারেন্টিন বা হাসপাতালে না থেকে বাইরে ঘুরে বেড়ালে সেক্ষেত্রে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রন সত্যিই কঠিন কাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।