পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনার মধ্যেও রেমিট্যান্স পাঠিয়ে রেকর্ড গড়েছেন প্রবাসীরা। বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। যা এর আগে কোনো অর্থবছরে এতো রেমিট্যান্স বাংলাদেশে আসেনি। আর প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের প্রায় ৮৯ শতাংশই এসেছে ১০টি দেশ থেকে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সউদী আরবের পরেই বেশি আসতো আমিরাত থেকে। তবে এবারই প্রথম আমিরাতের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা) যার পরিমাণ দুই লাখ ১০ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে গেল অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ শতাংশ।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এক কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আহরণে বেশি ভূমিকা পালন করছেন মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকা ও ইউরোপের দেশে থাকা প্রবাসীরা।
বাংলাদেশের প্রবাসীদের বড় শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সউদী আরব। বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ লাখের মতো বাংলাদেশি সউদীতে কর্মরত আছেন। তথ্য বলছে, বরাবরের মতো গেল অর্থবছরে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সউদী আরব থেকে। দেশটি থেকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৭২ কোটি ৪১ লাখ ডলার। যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের ২৩ দশমিক নয় শতাংশ। এছাড়া দেশটি থেকে গত অর্থবছরে তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪২ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের সউদী থেকে রেমিট্যান্স আসে ৪০১ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এদিকে আগের বছরগুলোতে সবসময় রেমিট্যান্স পাঠানোর দিক থেকে সউদী আরবের পরই দ্বিতীয় অবস্থানে থাকত সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চলতি অর্থবছরে আমিরাতকে টপকে দ্বিতীয়তে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের তুলনায় এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে টাকা পাঠানো সহজ হয়েছে। এছাড়া বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রণোদনা পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি মহামারিতে দেশে স্বজনদের কথা বিবেচনা করে প্রবাসীরা আগের তুলনায় বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন। গেল অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪৬ কোটি ১৬ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরে ছিল ২৪০ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। তৃতীয় শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। দেশটি থেকে এসেছে ২৪৪ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ২৪৭ কোটি ২৫ লাখ ডলার। চতুর্থ অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্য থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২০২ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। ৫ম অবস্থানের দেশ মালয়েশিয়া থেকে পঠিয়েছে ২০০ কোটি ২৩ লাখ ডলার। কুয়েত থেকে এসেছে ১৮৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, ওমান ১৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, কাতার থেকে এসেছে ১৪৫ কোটি ডলার। এছাড়া ইতালি থেকে এসেছে ৮১ কোটি ডলার এবং সিঙ্গাপুর থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৬২ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।