বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারী সৈয়দপুরে সরকার ঘোষিত দুই সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউনের ১২তম দিনে আর মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। বেড়িয়ে পরেছে রাস্তায়। কোভিট-১৯ সংক্রমণ রোধে মানুষজনকে ঘরে রাখতে সরকারের বিধিনিষেধ উপেক্ষিত হচ্ছে। মানুষকে ঘরে রাখতে শহরে প্রশাসন ও সেনা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকলেও তেমন সুফল দেখা যাচ্ছে না।
আজ ১২ জুলাই সোমবার সকাল ১০টায় দেখা যায়। শহরের ফল বাজার, পাঁচমাথা মোড়, শহীদ ডা. জিকরুল হক রোড, শহীদ তুলশীরাম সড়ক (দিনাজপুর মোড়), শহীদ ডা. শামসুল হক রোড, শের-ই- বাংলা সড়ক ও বঙ্গবন্ধু সড়কের একই চিত্র। শহরের ফল আড়ৎ, ঔষধের দোকান ও খাদ্য পণ্যের দোকানে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত। অপরদিকে ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে মাস্ক থাকলেও তা ছিল থুতনিতে (মুখের নীচে)। শহরে রাস্তায় রিক্সা, ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা চলাচল ছিল লক্ষনীয়। সেইসাথে প্রাইভেট কার, পিকআপ ও ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেছে রাস্তায়। খাদ্যের দোকানের পাপাপাশি অন্যান্য দোকানের হাফ শার্টার তুলে ব্যবসা করতেও দেখা গেছে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত।
আর কতদিন এমন করি থাকমো। ছাওয়া ছোটক নিয়া খুব কষ্টে আছি। সামনে ঈদ। তাই বাধ্য হয়া রিক্সা নিয়া বাজারত আচ্ছি। এ পর্যন্ত হামরা কোন সাহায্য সহযোগিতা পাই নাই। এমনটিই জানিয়েছেন শহরের বানিয়াপাড়া এলাকার রিক্সা চালক খায়রুল।
নাম প্রকাশে করতে না চাওয়ায় শহরের ব্যবসায়ী বলেন, শুধু আজ নয়, গত দুইদিন থেকে শহরে লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। লকডাউনের শীতলতা দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের আগের মত টহল খুব একটা চোখে পড়ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম জানান, আজ আমরা সকালে গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম। শহরেও আমাদের প্রশাসন নজরদারি করছে। এমন ঘটনা নজরে আসলে, লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করলে ভ্রাম্যমানের আওতায় আনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।