বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দরিদ্রদের মাঝে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ঘর নির্মাণ করা হয়েছে পাহাড়ে। হাতির ভয়ে অনেকেই এ ঘরগুলোতে উঠতে চাইছেন না। এরমধ্যে ঘরগুলো নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার সাপমারা গুচ্ছ গ্রাম ও হাইদগাঁও এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত ২৩০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ২০০টি ঘরের ভ‚মি রেজিস্ট্রি ভ‚মিহীন মানুষের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকী ৩০টি ঘরের কাজ চলছে। অধিকাংশ ঘরের মেঝেতে ফাটল, তাছাড়া ঘরগুলোর ছাউনীতে ব্যবহার করা হয়েছে অতি নির্মাণের কাঠ। জানালার গ্রীলে নিম্নমানের টিন, সবগুলো ঘর বাহিরে রং করলেও কিছু কিছু ভেতরে রং নেই। আবার কিছু জানালা বাইরে রং করলেও ভেতরের অংশে মরিচা ধরেছে। করা হয়নি পানীয় জলের ব্যবস্থা। বর্তমানে ঘর গুলোতে কোন বিদ্যুৎ নেই। যাতায়াতের জন্য সুবিধাজনক রাস্তাও নেই। নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ঘর গুলো। ২০ ফুট লম্বা ১৮ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট এই ঘরে দুইটি থাকার রুম, একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে।
ফরিদ নামের একজন রাজমিস্ত্রি জানান, ১ শতকের কম জায়গায় এ ঘরগুলো যেভাবে নির্মাণ করা হয়েছে তাতে প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। অথচ প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। পটিয়া উপজেলার সমতল এলাকায় বিপুল পরিমাণ সরকারি খাস ভ‚মি থাকা স্বত্বেও তখনকার সময়ের এসিল্যান্ড ইনামুল হাসান পাহাড়ি অঞ্চলে এঘরগুলো নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করেন। যার ফলে হাতির চলাচলের এলাকায় হওয়ায় সেখানে হাতির আক্রমণের ভয় রয়েছে। তাছাড়া বিষধর সাপসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর আক্রমণের শঙ্কাও রয়েছে। যার ফলে উদ্বোধনের ৬ মাস গত হলেও এখনও অধিকাংশ ঘরে তালা ঝুলছে।
ঘর পাওয়া ভ‚মিহীন বিবি জয়নাবের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ইতিমধ্যে ঘরের ফ্লোরে ফাটল ধরেছে। আরও কিছু ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে ঠিকাদারেরা এ ফাটলগুলো মেরামত করে দিচ্ছে। গত ৫ জুলাই ঘরে ফাটলের খবর পেয়ে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল আশ্রয়ন প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন এবং ফাটল গুলো ঠিক করে দিতে ইউএনও কে নির্দেশ দেন। তবে অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে তিনি কোন ব্যবস্থা নেন নি। প্রাথমিক পর্যায়ে আনোয়ারা এলাকার মোহাম্মদ আকবর নামের একজন ঠিকাদার ঘরের কাজ পেলেও পরবর্তীতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুপ্তশ্রী সাহাকে ম্যানেজ করে যুবলীগ নেতা এনামুল হক মজুমদার, মাহাদু ও মোহাম্মদ হাসান ঘরের কাজ ভাগিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমদ বলেন, ঘর নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়নি, ভূমির স্থান নির্ধারণী কাজটি এসিল্যান্ড করেছেন। এখানে আমার করার কিছু নেই। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুপ্তশ্রী সাহা জানান, যারা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরছে তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।