Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কুম্ভমেলায় ১ লাখ কোভিড পরীক্ষায় জালিয়াতিৎ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কালে দলে দলে কুম্ভমেলায় ভিড় করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। কিন্তু সমালোচনা উড়িয়ে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ধর্মও সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছিল উত্তরাখন্ড রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই কুম্ভমেলাতেই করোনা পরীক্ষার নামে বড় দুর্নীতি সামনে এসেছে। অভিযোগ, কুম্ভমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রায় এক লাখ মানুষের কোনো করোনা পরীক্ষাই হয়নি। মনগড়া নাম, ফোন নম্বর দিয়ে পরীক্ষা হয়েছে বলে শুধু খাতায়-কলমেই দেখানো হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বটে, তবে তাতে নাস্তানাবুদ অবস্থা তদন্তকারীদের। ওই ১ লাখ ফোন নম্বরে ফোন করে সত্যতা যাচাই করছেন তারা। কিন্তু তাতে দেখা গেছে, খাতায়-কলমে ফোন নম্বর নথিভুক্ত থাকলেও, তাদের কেউ কুম্ভমেলায় যোগই দেননি। কুম্ভমেলায় ভিড় করা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে উত্তরাখÐ সরকার ১১টি বেসরকারি সংস্থাকে অংশগ্রহণকারী সকলের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার বরাত দিয়েছিল, যাতে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। কিন্তু ওই ১১টি সংস্থার মধ্যে ‘ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিসেস’-এর জমা দেয়া ১ লাখ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা ঘিরেই সন্দেহ দানা বাঁধে। সেই নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি লেখেন পাঞ্জাবের ফরিদকোটের বাসিন্দা বিপিন মিত্তল। তাতে জানা, কুম্ভমেলায় যোগই দেননি তিনি। অথচ হরিদ্বার থেকে তার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এই অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে উত্তরাখÐ সরকার। ৮ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট) গঠন করেছে তারা। ধরে ধরে তালিকায় উল্লেখিত প্রত্যেক নম্বের ফোন করে বিষয়টি যাচাই করছে তারা। এখন পর্যন্ত যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে দেখা গেছে, একের পর এক নম্বর ডায়াল করে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কুম্ভমেলায় যোগই দেননি। তাই ‘ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিসেস’ এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষার জন্য তাদের নিয়োগ করা নলওয়া ল্যাবস এবং ডক্টর লালচন্দানি ল্যাবসের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিযোগ উঠছে। হরিদ্বার জেলা প্রশাসনের তরফেও আলাদা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ওই বেসরকারি সংস্থা এবং দুই গবেষণা সংস্থার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, ভুয়ো নথি দাখিল, ধারা ২৬৯ (বিপজ্জনক সংক্রমণ নিয়ে দায়িত্বজ্ঞাহীনতা), ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। কুম্ভমেলা কর্তৃপক্ষও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করার জন্য যে লাইসেন্স থাকা দরকার, নলওয়া ল্যাবস-এর তা নেই বলে জানা গিয়েছে। যে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৯৬টি পরীক্ষার তালিকা জমা পড়েছিল উত্তরাখÐ সরকারের কাছে, তার মধ্যে ৩ হাজার ৯২৫টি একই ফোন নম্বর দিয়ে নথিভুক্ত রয়েছে বলে পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কুম্ভমেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার ভ‚মিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও ‘ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিসেস’ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ