Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওষুধের দাম বৃদ্ধি রুখতে মুখর মমতা

প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : একদিকে ভারতের ওষুধ শিল্প আর অন্য দিকে নানা রোগে আক্রান্ত জনগণ। ওষুধ সংস্থার স্বার্থ বাঁচাতে গিয়ে রোগীর সেবায় আঘাত হানার অভিযোগ নিয়ে সারা দেশ অলোচনায় মুখর। এবার সেই বিষয়ে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জীবনদায়ী ওষুধের উপর থেকে আমদানি শুল্কে ছাড় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই তীব্রতর হয়েছে জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ার আশঙ্কা। এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা গত সোমবার নবান্নে জানান, ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড়ের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জীবনদায়ী ওষুধের উপর থেকে কেন্দ্র আমদানি শুল্কে ছাড় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়ায় ক্যানসার, কিডনিতে পাথর, ডায়াবেটিস, পার্কিনসন্স, হেপাটাইটিস বি, কোলাইটিস, হাড়ের রোগ, হেপাটাইটিস ও হিমোফিলিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রায় ৭৪টি ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। তাহলে রোগীর স্বার্থ-বিরোধী এমন সিদ্ধান্ত কেন? কেন্দ্রের যুক্তি, এ দেশের ওষুধ শিল্পের স্বার্থরক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বিদেশি ওষুধের উপর থেকে আমদানি শুল্কে ছাড় তুলে নেয়া হলে সেগুলোর দাম বাড়বে ঠিকই। কিš দেশি ওষুধের দাম আগের মতোই থেকে যাবে। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে দেশীয় সংস্থাগুলোর টিকে থাকতে সুবিধা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী জীবনদায়ী ওষুধের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের উপরে এর প্রভাব পড়বে। তিনি আরোও বলেন, ‘বাচ্চা, নারী ও বয়স্কদের ওষুধের দাম বাড়লে বিপদে পড়বেন সাধারণ মানুষ। বিষয়টি বিবেচনা করে কেন্দ্রকে আমদানি শুল্কে ছাড় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বলেছি। এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওষুধের দাম বৃদ্ধি রুখতে মুখর মমতা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ