বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে সীমিত সরকারি এলপি গ্যাস সরবরাহের সুযোগে বেসরকারি কোম্পানির গ্যাস নিয়ে নৈরাজ্য চলছে। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন জুলাই মাসে সারাদেশে এলপি গ্যাসের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৯১ টাকা নির্ধারণ করলেও দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন কোম্পানির পরিবেশকরা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ১ হাজার টাকায় ১২ কেজির সিলিন্ডার বিক্রি করছেন। ফলে ভোক্তাদের ১ হাজার ৫০ টাকা করে ওইসব গ্যাস কিনতে হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলে এলপি গ্যাস নিয়ে একটি সিন্ডিকেটের কারণে ভোক্তাদের সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৫৯ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানি সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলেও এলপি গ্যাস বিপণন করলেও তার সরবরাহ প্রায় বন্ধ হওয়ায় বেসরকারি সিন্ডিকেট সক্রিয় বলে অভিযোগ রয়েছে। উপরন্তু সরকারি এসব কোম্পানির সিলিন্ডার পুরানো ও ত্রুটিপূর্ণ, তাই বেশিরভাগ ডিলার ও ভোক্তারা তা গ্রহণ করতে চাচ্ছেন না।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বেসরকারি কোম্পানির এলপি গ্যাস পরিবেশকদের সিন্ডিকেট চক্রটি গত ২৫ জুনের পরই খুচরা ব্যবসায়ীদের সিলিন্ডার সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। গত ১ জুলাই সকাল থেকে আগের দামের চেয়ে দেড়শ’ টাকা বেশিতে খুচরা ব্যবসায়ীদের সিলিন্ডার সরবরাহ শুরু করেছেন বেসরকারি কোম্পানির পরিবেশকরা।
ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্যমতে, বেসরকারি কোম্পানির পরিবেশকদের এই সিন্ডিকেট কয়েক বছর ধরে বরিশালে এলপি গ্যাস নিয়ে অনৈতিক ব্যবসায় সক্রিয়। তারা প্রতি মাসের ২৭-২৮ তারিখের পরই খুচরা ব্যবসায়ীদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে নতুন মাসের ১ তারিখ থেকে দাম বৃদ্ধি করে থাকে। মজুদ থাকা সিলিন্ডার দিয়ে পরিবেশকরা কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অরিয়ন গ্যাস কোম্পানির বরিশালের পরিবেশক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, কোম্পানি থেকেই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। যে কারণে তারা খুচরা বিক্রেতাদেরও দিচ্ছেন বেশি দামে। সরকারের মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, এটা কোম্পানি ও সরকারের মধ্যে বোঝাপড়া হবে। তারাই সরকারকে ম্যানেজ করবে।
এলপি গ্যাস কোম্পানি মেট্রোম্যাক্সের পরিবেশক মলয় সাহাসহ আরও কয়েকজন পরিবেশক দাবি করেন, কোম্পানি থেকে দাম বৃদ্ধি করায় তাদের কিছু করার থাকে না। তবে বসুন্ধরা গ্যাস কোম্পানির পরিবেশক মো. রাসেল হোসেন বলেছেন, তারা জুন মাসের দর ৮৮০ টাকায় খুচরা বিক্রেতাদের এখনও সিলিন্ডার দিচ্ছেন। দাম বৃদ্ধির বিষয়টি কোম্পানি থেকে এখনও জানানো হয়নি।
এলপি গ্যাস নিয়ে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত মুনাফা বন্ধে সরকার গত মে মাস থেকে সারাদেশে ভোক্তাদের কাছে বিক্রির মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না।
জুন মাসে খুচরা বিক্রেতাদের জন্য এলপিজি’র মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৪০ টাকা। তখন বরিশালের খুচরা বাজারে বিক্রি হতো ৯০০ টাকা দরে। গত বুধবার জুন মাসের চেয়ে আরও ৪৯ টাকা বৃদ্ধি করে খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে ৮৯১ টাকা। অথচ দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে বৃদ্ধি পেল প্রতি সিলিন্ডারে দেড়শ’ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।