ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালের মর্চুয়ারী সংকট হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে দুর্ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ৪৮টি লাশ ৩ ভাগে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গতকাল রাতেই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা ৪৮টি লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। আজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে ১৫টি লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর আটটি লাশ রাখা হবে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মর্গে। বাকি ২৫ লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গেই থাকবে।
ওসি আরও বলেন, নিহতদের স্বজনদের সব ধরনের সহায়তায় আমরা কাজ করছি। এ ছাড়া তাদের যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
এদিকে সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুশরাত ইয়াছমিন বলেন, গতকাল থেকে আমরা লাশের দাবিদারদের নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছি। আজ দুপুর পর্যন্ত ৩৫ লাশের জন্যে ৪৭ জন দাবিদারদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলোর পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আনুমানিক এক মাস সময় লাগতে পারে। এক মাসের মধ্যে এই পরিচয় গুলো আমরা শনাক্ত করতে পারবো । পরবর্তী সময়ে ফলাফল জানা যাবে জেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ( ৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় আগুন লাগে। এই কারখানার মালিক সজীব গ্রুপ। আগুনে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার দিন মৃত্যু হয় তিন শ্রমিকের। বাকি ৪৯ জনের লাশ কারখানার ফ্লোর থেকে উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। লাশগুলো ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর লাশ গুলো স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।