Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘নিচে আগুন, আমরা ওপরে আটকা’ বলেই ভাবির ফোন বন্ধ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২১, ৭:২৭ পিএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস কারখানায় আগুনের ঘটনার পর থেকে ভাবি ও ভাতিজার বউকে খুঁজে পাচ্ছেন না মোহাম্মদ লিটন। ঘটনার পর রাতভর ফ্যাক্টরির সামনে অপেক্ষা শেষে এখন অপেক্ষা করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গের সামনে। মর্গে আনা লাশগুলোর মধ্যে তারা আছে কি না, সেজন্য পাগলের মতো ছোটাছুটি করছেন।

লিটনের ভাবির নাম জাহানারা আর ভাতিজার বউয়ের নাম ফাতেমা খাতুন। তাদের খোঁজে একবার পুলিশের কাছে যাচ্ছেন, আরেকবার কোম্পানির কাউকে দেখলে সেখানে দৌড়াচ্ছেন। কিন্তু লাশ দেখতে দিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশ বলছে, লাশগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, কাউকে চেনা যাচ্ছে না।

স্বজনের লাশের জন্য ঢামেকের সামনে অবস্থান করা মোহাম্মদ লিটন বলেন, জাহানারা ভাবি (আমার বড় ভাইয়ের বউ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার (বৃহস্পতিবার) দিকে আমাকে ফোন দিছিল, বলল, ‘আমাদের কারখানার নিচে অনেক আগুন, আমরা চারতলার এসি রুমে আটকা, ম্যানেজার বের হতে দিচ্ছে না। ভাই আটকা আছি, আগুন অনেক বেশি ভয় লাগতেছে, আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

এর ১০ মিনিট পর (৬টা ৪০ মিনিটে) আমি কল ভাবিকে কল দেই ভাবি ফোন রিসিভ করে না, সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে মোবাইল বন্ধ হয়ে গেছে। আর ফোন যাচ্ছে না।

লিটন বলেন, যখন থেকেই ফোন বন্ধ পাচ্ছি তখনই (রাতে) আমরা ফ্যাক্টরিতে গেছি, আশপাশের মেডিকেল, হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করছি, কোথাও তাদের হদিস পাচ্ছি না। আজকে বিকেলে শুনেছি, যারা আগুনে পুড়েছে, তাদের লাশ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই আমরা দেখতে আসছি, এখানে তাদের লাশ আছে কি না। কিন্তু এখানে এসে তো লাশগুলো দেখতে পাচ্ছি না। পুলিশ বলছে, লাশ দেখে চেনা যাবে না। তাই দেখতে দিচ্ছে না। আমরা অপেক্ষা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রুপগঞ্জে অগ্নিকান্ড

৯ জুলাই, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ