বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কঠোর লকডাউনের মধ্যেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যান ও যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। গণ পরিবহন বন্ধ থাকলেও ছোট ছোট যানে চড়ে বা পায়ে হেঁটে যাত্রীরা ঘাটে পৌঁছে যাচ্ছে পদ্মা পাড়ি দিতে দক্ষিণবঙ্গের উদ্দেশে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট এড়িয়ে শতশত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে ঘাটে আসতে দেখা গেছে। আর পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপের সংখ্যাও বেড়েছে। সকাল থেকে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিলো চোখে পড়ার মতো। ১০ টি ফেরি দিয়ে ঘাট স্বাভাবিক রাখা হলেও ঘাটের পন্টুনে আটকা পড়েছে প্রায় ২ শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, দ্বিতীয় দফা লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবারেও কঠোর লকডাউনের মধ্যে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যেন জনস্রোত শুরু হয়েছে। পথে পথে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে এবং গণপরিবহন না থাকায় বিড়ম্বনা মাথায় নিয়েই ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবার নিয়ে বিভিন্নভাবে শিমুলিয়ায় ছুটে আসছে। এদিকে শুক্রবার (বিআইডাব্লিউটিসি) জানিয়েছে দুপুর ১২টা থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে শুধু পণ্যবাহী গাড়ী ও এম্বুলেন্স পারাপার করা হবে। তবুও ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হচ্ছে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি। আজ শুক্রবার বিকেলে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসির) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলছে। তিনি আরও জানান ঘাটে ফেরিতে যাত্রী পাড় হচ্ছেনা তবে যারা জরুরী প্রয়োজনে ব্যক্তিগত গাড়িতে মুভমেন্ট পাস নিয়ে আসছে তাদেও যেতে দেয়া হচ্ছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান,ঘাটে এখন যাত্রীর চাপ নেই, কিছু এম্বুলেন্স,বিদেশ থেকে আসা যাত্রী ব্যক্তিগত গাড়ি (মুভমেন্ট পাস) দেড় শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে অপেক্ষায় আছে।
এদিকে লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পহেলা জুলাই থেকে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এরিয়ায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ঘাটে যারাই আসছে বিভিন্ন সমস্যা অজুহাত দিচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য বা প্রমাণ দিতে পারলে আমরা ঘাটে যেতে দেই আর যারা প্রয়োজনীয় প্রমাণ দিতে না পারে তাদের শাস্তিসহ আগের গন্তব্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।