বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ করে রাখার পরও কাকা ভেজা বৃস্টির মধ্যে গতকাল রবিবারও পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথের ফেরীতে গাদাগাদি করে পার হতে মাদারীপুরসহ দক্ষিনাঞ্চলে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে শিমুলিয়া ফেরী ঘাটে।দুর্ভোগকে সাথী করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন তারা। পদ্মা পারাপারের এখন একমাত্র বাহন ফেরী। ফেরিও দিনে বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও জনস্রোতের চাপে চালাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে বিআইডব্লিউটিসি জানায়।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঈদ এগিয়ে আসায় চাপ আরও বেড়েছে। দিনে জরুরি পরিসেবার পাশাপাশি পরিস্থিতির কারণে লোকজনও পার করা হচ্ছে। ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৫টি চলাচল করছে এখন।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল যেন থামছে না। সব বাঁধা উপেক্ষা করে মানুষ আসছে। বাঁধভাঙা স্রোতের মত লোকজন ফেরিতে ওঠার চেষ্টা করছে। ফেরি ঘাটে ভিড়তেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। ফেরি ছেড়ে দিলেও ঝুঁকি নিয়ে ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে সবাই।
কয়েক দিন ধরে এমন চাপ থাকলেও মঙ্গলবার সেই চাপ আরও বেড়েছে। সকালে বৃষ্টিতে খোলা ফেরিতে কাকভেজা হয়েই হাজার হাজার মানুষকে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে। এখানে ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেই ছুটছে মানুষ।
মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে বাংলাবাজার ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, শিমুলিয়া থেকে যাত্রীবোঝাই হয়ে ফেরি এসে ভিড়ছে বাংলাবাজার ঘাটে। যাত্রীদের পাশাপাশি হালকা যানবাহনও রয়েছে কিছু।
মাদারীপুরের যাত্রী শাহানুর বেগম বলেন, ফেরিতে ভিড় থাকলেও ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠতে পেরেছি।একই কথা রুবেল নামের মোস্তফাপুরের এক যাত্রীর।
বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টের বাধাও কাজে আসছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝঁকি নিয়েই লোকজন ছুটছে। রাতেও ছিল একই অবস্থা। রাত ৩টা পর্যন্ত ফেরিতে লোকজনের কারণে গাড়ি উঠতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুন্সীগঞ্জের ডিসি মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, “মানুষের ঢল থামানো যাচ্ছে না। তবে সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সাধ্যমত চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ ও প্রয় সাড়ে চারশ স্পিডবোট ও দুই শতাধিক ট্রলার চলাচল করত। সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু ১৬টি ফেরি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।