পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশব্যাপী চলমান কঠোর লকডাউনের শুরুর দিকে রাজধানীতে বেশ কড়াকড়ি থাকলেও গত তিন-চারদিন ধরে কিছুটা ঢিলেঢালা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। এরই মধ্যে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, শ্রমজীবী মানুষেরও আনাগোনা বেড়েছে বেশ। তবে আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) কিছুটা উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে মানুষ নেই বললেই চলে। সড়কে ব্যক্তিগত গাড়িও তেমনটা দেখা যায়নি, এমনকি রিকশার সংখ্যাও অনেক কম। তবে পাড়ামহল্লার অলিগতিতে সকালে বাজার করতে আসা মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
সকালে রাজধানীর নগরীর রাজারবাগ, মৌচাক, মগবাজার, শান্তিনগর, কাকরাইল, ফকিরাপুল, পল্টন, গুলিস্তান, শহবাগ, বাংলামোটর এমনকি ব্যস্ততম কাওরান বাজার এলাকাতেও এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকায় যানবাহন নেই বললেই চলে। হাতে গোনা কয়েকটি রিকশা থাকলেও বেশিরভাগেই খালি দেখা গেছে। রিকশার চালকরা বলছেন, রাস্তায় কোনও মানুষ নেই, তারা যাত্রীও পাচ্ছেন না। তাই তারা এদিক-সেদিক ঘুরোঘুরি করছেন।
সকালে যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগ এলাকায় দেকা গেছে, খুব অল্প সংখ্যক যান চলাচল করছে। রাস্তায় মানুষও নেই, কিছু মানুষ বাজার করতে বের হয়েছে। তাও তাদের বেশিরভাগ হেঁটে চলাফেরা করছেন।
বাংলামোটর মোড়ে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্য মোস্তফা ও মোস্তাক। তারা সিগন্যাল ছেড়ে অলস বসে আছেন পাশের পুলিশ বক্সে। তাদের একজন বললেন, আজ আমাদের কোনও কাজই নেই। বসে আছি। কোনও যানবাহন নেই। রাস্তায় মানুষও তেমন নেই। একদিকে শুক্রবার অন্যদিকে লকডাউন। সেকারণে এমন চিত্র।
নগরীর ব্যস্ততম এলাকা কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারা মোড়ের চিত্রও প্রায় একইরকম। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে কোনও যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ট্রাফিক বক্সের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েক মিনিট পরপর এক দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি, আবার কখনো কাওরান বাজার থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বের হওয়ার দুএকটি গাড়ি দেখা গেছে।
তবে নগরীর অলিগলির চিত্র একটু ভিন্ন দেখা গেছে। গলির কাঁচাবাজারের দোকানগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকালে বাজার সেরে অনেককেই বাসায় ফিরতে দেখা গেছে। গলির এই দোকানগুলোতে শারীরিক দূরত্ব তেমন মানা না হলেও ক্রেতাদের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক দেখা গেছে।
খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজারের দোকানদার সমছুল ইসলাম বলেন, মানুষের মাঝে কিছুতা সচেতনতা এসেছে। আগের তুলনায় ক্রেতাও কম। সচেতন যারা তারা প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। আমরাও চেষ্টা করি মানুষ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার সদাই করতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।