Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ ছেলেকে আটকে রাখলো এএসআই, মারা গেলেন বাবা

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২১, ১০:৪৮ পিএম

সাতক্ষীরায় অসুস্থ বাবার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাচ্ছিলেন ছেলে। পথে শহরের ইটাগাছা হাটের মোড়ে এএসআই সুভাষ চন্দ্র ছেলেকে দু’ঘণ্টা আটকে রাখায় অক্সিজেনের অভাবে অসুস্থ বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অক্সিজেনের অভাবে মারা যাওয়া ব্যাক্তির নাম রজব আলী মোড়ল (৬৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের বাসিন্দা। করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বৃদ্ধ’র ছেলে ওলিউল ইসলাম জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে অসুস্থ বৃদ্ধ পিতা। জরুরী অক্সিজেন প্রয়োজন হওয়ায় সাতক্ষীরা থেকে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বেলা দশটার দিকে ইটাগাছা হাটের মোড়ে পৌঁছালে তাকে আটক করেন ইটাগাছা ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ চন্দ্র। লকডাউনে বাইরে বেরিয়েছে বলে তার কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন। দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় তাকে দুই ঘন্টা সেখানে আটকে রাখা হয়। পরে ইটাগাছা এলাকার জনৈক জিয়াউল ইসলামের মধ্যস্থতায় ২০০ টাকা নিয়ে এএসআই সুভাষ তাকে ছেড়ে দেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। বাড়িতে যেয়ে দেখেন পিতা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন।

আবেগআপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, যদি সময় মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো পিতাকে বাঁচাতে পারতাম। তিনি এই অমানবিক ঘটনার বিচার দাবি করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির একাধিক পুলিশ সদস্য বলেন, সুভাষের কারণে পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ চন্দ্র বলেন, কটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দ্রুত গতিতে ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। আমি তাকে থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলাম। কাগজ দেখাতে না পারায় তার গাড়িটি আটক করে রেখে তাকে অন্য একটি ইজিবাইকে সিলিন্ডার নিয়ে চলে যেতে বলেছিলাম কিন্তু সে মোটরসাইকেল না নিয়ে যেতে রাজি হয়নি। বিষয়টি ট্রাফিক ইন্সপেক্টরকে জানালে তিনি মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দিতে বলেন। এরমধ্যে সামান্য সময় দেরি হয়েছে। পরে শুনলাম তার বাবা মারা গেছেন।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। অভিযুক্ত এএসআই সুভাষ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • Saidul Islam ৯ জুলাই, ২০২১, ১:৫৪ পিএম says : 0
    Tar berode me babosta neben? Tar baba ke are fera asbe
    Total Reply(0) Reply
  • not necessary ৯ জুলাই, ২০২১, ২:১৬ পিএম says : 0
    Of course, the guilty person should be tried through proper investigation, but this demand may become tomorrow in the land of this independent Bengal. And so far or how many police officers have been tried.
    Total Reply(0) Reply
  • Onamika ৯ জুলাই, ২০২১, ৩:৪৩ পিএম says : 0
    যেহেতু সে পুলিশ এবং সুভাষ সেহেতু তার কিছুই হবেনা বলে মনে হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Sonia Akter ৯ জুলাই, ২০২১, ১০:২১ পিএম says : 0
    এ এস আই সুভাষের কোনো দোষ নেই দোষ এই সরকারের যিনি পুলিশ কে পশু বানিয়ে রেখেছে মানুষ বানায়নি
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Hannan ১০ জুলাই, ২০২১, ৩:১৪ পিএম says : 0
    সুভাষ চন্দ্রর যতদিন মানুষ না হবে ততদিন দেশের মানুষ এভাবে নির্যাতনের শিকার হবেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Roknuzzaman Rokon ১৩ জুলাই, ২০২১, ১১:০৪ এএম says : 0
    এই পুলিশকে অবশ্যই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাতক্ষীরা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ