গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
একদিনে করোনাভাইরাস অন্য দিকে শুরু হয়েছে ডেঙ্গুর প্রার্দূভাব। এই দুই ভাইরাসের কারণে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে রোগীদের তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে এখন উপচে পড়া কভিড রোগী। তারা চিকিৎসা পেতে ছুটছে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে। অবস্থা সামাল দিতে এখনই অনেকটা দিশাহারা হয়ে পড়ছে রাজধানীর একেকটি হাসপাতাল। সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিচ্ছে আইসিইউ বেডের ক্ষেত্রে। সরকারি-বেসরকারি মিলে ২২টি হাসপাতালেরই প্রায় সব আইসিইউ বেড রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে। কয়েকটি হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি আছে মাত্র এক-দুটি করে। নতুন রোগী নেওয়া যাচ্ছে না খালি না হওয়া পর্যন্ত। ফলে করোনা রোগী নিয়ে রাজধানীতে আগের মতোই শুরু হয়ে গেছে ছোটাছুটি।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে জেনারেল বেডও খালি নেই, বরং গতকাল বুধবার অতিরিক্ত ৫০ রোগী ভর্তি ছিল। মাত্র সাত দিন আগেও ঢাকায় যেখানে ৫০ শতাংশের বেশি বেড খালি ছিল, সেগুলো দ্রুত রোগীতে ভরে উঠছে।
গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১ জুলাই ঢাকা মহানগরীর ১৬টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত এবং ২৮টি প্রাইভেট হাসপাতালে কভিড ডেডিকেটেড পাঁচ হাজার ৩১৮টি জেনারেল বেডের মধ্যে দুই হাজার ৯১২টি বা ৫৪ শতাংশ খালি এবং বাকি ৪৬ শতাংশে রোগী ছিল। আর ৮২৪টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ৪০২টি বা ৪৮ শতাংশ খালি এবং বাকি ৫২ শতাংশে রোগী ছিল।
গতকালের হিসাবে দেখা যায়, সেই চিত্র অনেকটাই উল্টে গিয়ে এখন জেনারেল বেড খালি আছে ৪১ শতাংশ আর রোগীতে ভরে গেছে ৫৯ শতাংশ। আইসিইউ খালি আছে মাত্র ২৬ শতাংশ এবং রোগী আছে ৭৪ শতাংশে। এর মধ্যে শুধু সরকারি হাসপাতালে ১ জুলাই খালি ছিল ৫২ শতাংশ জেনারেল বেড আর ৪২ শতাংশ আইসিইউ বেড। এখন সেখানে খালি আছে ৪২ শতাংশ জেনারেল বেড ও ২২ শতাংশ আইসিইউ বেড। অর্থাৎ ঢাকার সরকারি হাসপাতালের ৭৮ শতাংশ আইসিইউ বেডই রোগীতে ভরে গেছে। প্রাইভেটে ১ জুলাই আইসিইউ ও জেনারেল বেডের উভয় ক্ষেত্রে রোগী ছিল ৪০ শতাংশ করে আর ৬০ শতাংশ খালি ছিল। কিন্তু গতকালের হিসাবে প্রাইভেটেরও ৭০ শতাংশ আইসিইউ ও ৬২ শতাংশ জেনারেল বেডে রোগী ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।