Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিনাজপুরে হাসপাতালে জায়গা নেই

আইসিইউ বেড পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্বজনেরা

দিনাজপুর অফিস | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২১, ৩:২২ পিএম

গত ২৪ ঘন্টায় দিনাজপুরে করোনা সংক্রমণের হার ৩৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে উঠানামা করছে। হাসপাতালে আইসিইউ বেডের জন্য হাহাকার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সিভিল সার্জন বলছেন অক্সিজেনের অভাব নেই। আইসিইউ বেড পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে স্বজনেরা। গত ২৪ ঘন্টায় দিনাজপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ৩১২টি নমুনা পরীক্ষায় ১১১ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার হচ্ছে ৩৫ দশমিক ৫৭। জেলায় মোট মৃত্যু ১৮৬ জন এর মধ্যে সদরেই মৃত্যু হয়েছে ৯৭জন। সদরে ১৯৫টিঁ নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৮১ জনের কোভিড-১৯ সংক্রমন হয়েছে আর সদরে সংক্রমনের হার ৪১.৫৩ শতাংশ। এদিকে লোকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে আজ শহরে যানবাহনসহ লোক চলাচল ও সমাগম বেড়েই চলেছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র‌্যাব , বিজিবি ও পুলিশ বাহিনী টহল দিলেও জনগনকে ঘরমুখি করতে পারছে না।

সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিসিইউ বেডের সংখ্যা মাত্র ১৫টি। সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য বিভাগের বেড নিয়ে করোনার জন্য ১৩০ টি বেড করোনা চিকিৎসার জন্য করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা পজিটিভ নিয়ে ৬৫ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে ৭৪ জন ভর্তি রয়েছে। ফলে বর্ধিত অংশ ছাড়াও মেঝেতে এমনকি করিডোরেও রোগীদের রাখা হয়েছে। করোনা পজিটিভের অধিকাংশ রোগীর জন্যই হাইফ্লো ক্যানোলা (উচ্চ চাপের অক্সিজেন) প্রয়োজন। যা কিনা একমাত্র আইসিসিইউ ছাড়া সম্ভব নয়। ফলে রোগীরা একদিকে অক্সিজেন্টা আঙ্গুলে এবং সিলিন্ডার দিয়ে মুখে অক্সিজেন দিয়ে স্বজনদের বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একই অবস্থা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে। করোনা’র জন্য স্থাপিত ৩০ বেডের তুলনায় ভর্তি রয়েছে ২৫ জন। কিন্তু হাইফ্লো ক্যানেলা বা আইসিসিইউ বেডের সুবিধা পাচ্ছে না রোগিরা। ফলে সকলেই ধাবিত হচ্ছে এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এদিকে সামাজিক ও সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার আশংকায় করোনা সংক্রমন নিয়ে বাসায় চিকিৎসা নেয়ার খবর চোখ মেললেই পাওয়া যাচেছ। প্রশাসনও এ ব্যাপারে রয়েছে। স্বজনদের বাঁচাতে অতি উচ্চ মুল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্রয় করে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। সংক্রমনের হার যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে পরিস্থিতি ভয়াভহ রুপ ধারন করবে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছে।

দিনাজপুরে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৬৪৮ এবং সুস্থ্য হয়েছে ৬৭৪২। বর্তমানে ২৬০৯ জন হোম আইসোলেশনে এবং হাসপাতালে ভর্তি ১৯৫ জন রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ