Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যাত্রাবাড়ী-কদমতলী কী লকডাউনমুক্ত?

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২১, ১:৪১ পিএম

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী এলাকা কী লকডাউনমুক্ত? এমন প্রশ্ন যে কেউ করতে পারেন এখানকার জনসমাগম ও রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক ও গাড়ি চলাচল দেখে। যাত্রাবাড়ী পাইকারী আড়ৎ থেকে শুরু করে শনিরআখড়া, গোবিন্দপুর বাজার, মুরাদপুর, জুরাইন এলাকায় রাস্তায় মানুষ আর মানুষ। ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও রিকশার ভিড়ে পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে যানজট লেগেই আছে।

সকালে এই দুই থানা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যেও সব কিছু স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে। ভোর থেকে যাত্রাবাড়ী পাইকারী আড়তে খুচরা বিক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে মুখরিত পাইকারী বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায় না। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো পরিবেশ সেখানে নেই। শনিরআখড়া ও গোবিন্দ বাজারেও একই অবস্থা। হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে কোনো বিধি-নিষেধ আছে।

জানতে চাইলে বেশ কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, মানুষ বাজারে আসবেই। এখানে আবার কিসের লকডাউন? শনিরআখড়া বাজারে আবুল বাশার নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জীবন জীবিকার জন্য বাজারে আসতে হয়। কিন্তু এখানে যে অবস্থা তাতে ভয় লাগে। কেউ কোনো নিয়ম মানে না। মানানোর চেষ্টাও নেই। তিনি বলেন, আমি ফাঁকে ফাঁকে থেকে যতোদূর সম্ভব নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি।

গোবিন্দপুর বাজারের মিজানুর রহমান নামে একজন ক্রেতা বলেন, এখানে লকডাউন বলে কিছু নেই। গত বছরও ছিল না। তিনি উল্লেখ করে বলেন, গত বছর কঠোর লকডাউনের মধ্যে এই গোবিন্দপুর বাজার নিয়ে বিদেশি মিডিয়া রিপোর্ট করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল। তারপরেও এখানকার প্রশাসনের এতটুকু টনক নড়েনি।
দনিয়া এলাকায় দেখা গেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশার জট। শত শত রিকশার ভিড়ে রাস্তা আটকে গেছে। মানুষ চলাচলের পথও বন্ধ। ধোলাইপাড় থেকে শনিরআখড়া বাজার পর্যন্ত চলাচল করছে শত শত ব্যাটারিচালিত রিকশা। মুরাদপুরে অবাদে চলছে ইজিবাইক। সেগুলোতে গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, বর্ণমালা স্কুল রোডে কিশোর গ্যাংয়ের আড্ডা লেগে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকেও বর্ণমালা স্কুল রোডে অনামিকা টাওয়ারের সামনে ১৫/২০ জন যুবককে আড্ডা দিতে দেখে কেউ একজন নিষেধ করায় তারা রীতিমতো তেড়ে আসে। একজন দোকানদার বলেন, ওদেরকে আড্ডা দিতে নিষেধ করার ক্ষেভে গেছে। তিনি জানান, যারা এখানে প্রতিদিন আড্ডা জমায় তারা কেউই এই এলাকার নয়। পাটেরবাগ, মুরাদপুর, সুত্রাপুর, রায়েরবাগ এলাকা থেকে এসে অনামিকা টাওয়ারের সামনে আড্ডা দেয়। শনিরআখড়া জিয়া সরণীতে কয়েকজন পুলিশকে ইজিবাইক চলাচলে বাধা দিতে দেখা গেছে। তবে কিছুক্ষণ পর পুলিশ চলে গেলে আবার সেগুলো দিয়ে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, লকডাউনে পুলিশের পোয়াবারো হয়েছে। তাদের উপরি আয় বেড়েছে। শত শত ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে পুলিশকে টাকা দিয়েই। তবে কদমতলী থানা পুলিশের এক এসআই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষ ঘরে না থাকলে কি করার আছে। আমরা বিকাল চারটার পর দোকান বন্ধ করে দেই। রাতে টহল জোরদার করা হয়।

 



 

Show all comments
  • ABDUR ROUF ৭ জুলাই, ২০২১, ২:৩১ পিএম says : 0
    SOBOI SARKAS
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লকডাউন

১১ আগস্ট, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ