বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সীমান্ত জেলা মৌলভীবাজারে করোনার সংক্রামন উর্ধগতির পাশাপাশি মৃত্যুও বাড়ছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন নতুন নতুন মানুষ। সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় মৌলভীবাজারে ১০৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। অনেকেই জ¦র-কাশি ও স্বাসকষ্ট সহ করোনা উপসর্গ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নমুনা অনুয়ায়ী আক্রান্তের হার ৫২ শতাংশ। নতুন আক্রান্ত ৫৬ জনের মধ্যে রাজনগরের ৭ জন, কুলাউড়ার ১ জন, কমলগঞ্জের ২ জন, শ্রীমঙ্গলের ১ জন এবং মৌলভীবাজার ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ৪৫ জন।
করোনায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় একজন ও কুলাউড়া উপজেলায় একজন সহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সংঘটক, রোটারিয়ান মোঃ শফিকুর রহমান (৬০) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার ৬ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। মোঃ শফিকুর রহমান সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের বিরাইমাবাদ গ্রামে তার বাড়ি।
সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, গত ৩০ জুন তিনি অসুস্থ হয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করলে পরীক্ষায় করোনা সনাক্ত হয়। মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অপরদিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সালেহা বেগম নামের ৫০ উর্ধ এক নারী।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ের নাচনি গ্রামের আব্দুল লতিফের স্ত্রী সালেহা বেগম করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। তিনি সিলেটের সোবহানীঘাটে কমিউনিটি বেইজ হাসপাতালে শনিবার ৩ জুলাই করোনার নমুনা দেন। পররদিন রোববার ৪ জুলাই রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জুলাই সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন।
সোমবার রাতে তাঁর লাশ নাচনি গ্রামে নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। করোনায় আক্রান্ত লাশ দাফন টিম মঙ্গলবার সকালে লাশ দাফন করে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১০৮ টি নমুনা পরীক্ষায় পাঠালে ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা অনুযায়ী আক্রান্তের হার ৫২ শতাংশ। এ পর্যন্ত জেলায় ৩ হাজার ২‘শ ৩৮ জনের শরিরে করোনা সনাক্ত হয়। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭ শত ৫০ জন। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫৫ জন।
সরকারী হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করেন ৩৭ জন। তবে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুবরণকারী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে বে-সরকাররি হিসেবে জেলার বাহিরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।