Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লকডাউন চলমান থাকায় ভোলায় কোরবানির লক্ষাধিক পশু নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২১, ৩:০০ পিএম

করোনা মহামারীর কারনে সরকারের দেওয়া লকডাউনের কারনে আসন্ন কোরবানির লক্ষাধীক পশু নিয়ে শঙ্কায় আছেন ভোলার জেলার পশু খামারিরা। জেলার ৭টি উপজেলার ২ হাজার ৯শত ৭৫ জন খামারির রয়েছে ২২ হাজার ৩শ পশু। এসব পশু আসন্ন কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দেওয়া লকডাউনের কারনে পশু বিক্রি ও সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন খামারিরা।
খামারিদের প্রত্যাশা ছিল আসন্ন কোরবানির ঈদে ভালো দামে পশু বিক্রি করে গতবছর তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা তাঁরা পুষিয়ে নিবেন। কিন্তু সরকারের দেওয়া লকডাউনের কারনে তাদের সেই আশা পুরন হচ্ছে না বলে আশংকায় রয়েছেন অধিকাংশ খামারিরা।
ছোট ছোট খামারিরা তেমন একটা দুশ্চিন্তায় না থাকলেও বড় বড় খামারিরা রয়েছেন বেশ দুশ্চিন্তায়। তাঁরা বলছেন,লকডাউনের কারনে সরকারের চলমান বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকলে পশু বিক্রি ও সঠিক মূল্য না পেলে তাঁরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা। অনেক খামারিরাই বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও থোকে ঋণ নিয়ে খামার ব্যাবসা করছেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার কোরবানী উপলক্ষ্যে পশুর টার্গেট রয়েছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৬০টির। যাঁর মধ্যে মহামারির ও কৃষকদের সহ মজুদ রয়েছে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৭৫৪টি পশু। এরমধ্যে গরু মজুদ আছে ৭৫ হাজার ৩০৪ টি, মহিষ ২ হাজার ৫৯২টি, ছাগল ২৭ হাজার ৪৭৪টি, ভেড়া ১ হাজার ৩৮৪টি।
এবার কোরবানির ঈদে দেশের অভ্যন্তরে পালনকৃত গরু দিয়েই ভোলায় কোরবানি দেয়ার মতো পশুর শতভাগ চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। পবিত্র কোরবানী উপলক্ষ্যে ভোলায় যে পরিমান পশু প্রয়োজন সে পরিমান পশু ভোলায় রয়েছে। তবে লকডাউন চলমান থাকলে ও ভারতীয় গরু ভোলায় প্রবেশ করলে খামারিদের লাভের সে প্রত্যাশা পুরন হবে না বরং খামারিরা লোকসানের মুখে পরবে বলে জানান খামারিরা।
খামারিরা বলছেন, এভাবে বিধিনিষেধ চলতে থাকলে তাঁরা অনেক বিপদে পড়ে যাবেন। অনেক খামারিরা বিভিন্নভাবে ঋণ নিয়ে খামার ব্যাবসা করেন এবং কোরবানির সময় ভাল দামেস্ক বিক্রি করে ঋন পরিশোধ করেন। তাই খামারিদের দাবী অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও যাতে খামারিরা ভালো দামে পশু বিক্রি করতে পারে সে ব্যবস্থা যেনো করে দেওয়া হয়। খামারিরা বলছেন, তাঁরা লাভ চাচ্ছে না। অন্তত খামারে তাঁদের যে বিনিয়োগ ও খরচ হয়েছে তা যেনো উঠে আসে।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল জানান, জেলায় এবার কোরবানী উপলক্ষ্যে খোলা হয়েছে পশু বেচা বিক্রির জন্য ৮ টি অনলাইন বাজার । সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ উঠে গেলে এবং ভারতীয় গরু ভোলায় না আসলে ভোলার খামারিরা ভালো দামে পশু বিক্রি করতে পারবে এবং খরচ পুষিয়ে লাভবান হবে বলে আশা করছেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোরবানির পশু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ