Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

করোনার উত্তাপ আতঙ্কে চিলমারী লকডাউনের নামে লুকোচুরি

গত ১মাসে টেস্ট-২২৯, আক্রান্ত-৬৩, মৃত্যু-১

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২১, ২:২২ পিএম

শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বের একটি আতঙ্ক করোনা ভাইরাস। সেই অতঙ্ক থেকে বাদ পড়েনি কুড়িগ্রামের চিলমারী। প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্ত রোগী। সূত্রমতে গত ১মাসে ২শত ২৯জন টেস্ট করে এর মধ্যে ৬৩জন করোনা পজেটিভ রোগী সনাক্ত হয়। এবং ১জনের মৃত্যু হয়। করোনা থেকে রক্ষা পেতে সরকারের ঘোষনা লকডাউন চলছেও লকডাউনের নামে চিলমারীতে যেন চলছে লুকোচুরি। লকডাউনেও থেমে নেই পশুরহাট ও লোকসমাগম। অসহায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে করোনা রোগী। প্রতিদিনেই দীর্ঘ হচ্ছে রোগীর তালিকা ইতি মধ্যে মৃত্যুরও খবর পাওয়া গেছে। সূত্র মতে গত ১মাসে চিলমারী হাসপাতালে ২শত২৯ জনের করোনা টেস্ট হয় এর মধ্যে ৬৩জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ১জনের মৃত্যু হয় এছাড়াও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে রোগী। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিও সাথে সাথে আতঙ্ক আর ঝুকি বাড়তেও শুরু করেছে। দিন যাচ্ছে আতঙ্কও বাড়ছে। আতঙ্ক আর ঝুকি থেকে রক্ষা পেতে সরকারের ঘোষনা কঠোর লকডাউন চললেও তা যেন ঘোষনায় সীমাবন্ধ রয়েছে, চলছে লুকোচুরি খেলা। সাইরেন বাজিয়ে আসে প্রশাসন আর সাথে সাথে বন্ধ হচ্ছে দোকানপাট এবং রাস্তা কিংবা চায়ের দোকানে আড্ডায় থাকা মানুষজন আড়াল হলেও প্রশাসনের গাড়ি যাওয়া মাত্র আবার খোলা হচ্ছে সকল দোকানপাট এবং মেতে উঠছে আড্ডায়। থানাহাট বাজার, জোড়গাছহাট, বালবাড়িহাট, টোলোর মোড়সহ বিভিন্ন হাটবাজারে ঘুরে একই চিত্র লক্ষ করা গেছে মুখে নেই মাস্ক চলছে আড্ডা। শুধু তাই হয় কঠোর লকডাউনের মধ্যেও রবিবার জোড়গাছ হাটে বৃহৎ পশুর হাট লাগলেও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন ছিল নিরব। এদিকে লকডাউনে বিপাকে পড়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আর খেটে খাওয়া মানুষ। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমরা রাস্তার ধারে দোকান বসিয়ে মালামাল বিক্রি বা চা বিক্রি করে সংসার চালাই কিন্তু যত বিপদ আমাদের, খুললে জরিমানা না খুললে না খেয়ে থাকা। বেশকিছু খেটে খাওয়া মানুষজন অভিযোগ করে বলেন, সামনে বন্যা হাতে নেই কাজ বউ ছাওয়া নিয়ে কষ্টে আছি। তারা আরো জানায়, যদিও কাজ মেলে সারাদিন কাজ করে মজুরি নিয়ে সন্ধায় বাজার এলে হয় প্রশাসনের লোকদের ভয়ে দৌঁড়াতে হয় না হলে খালি হাতে বাড়িতে ফিরতে হয় এছাড়াও তো ভাইরাসের ভয় আছে। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আমিনুল ইসলাম বলেন, মানুষের অসচেতনার কারনে ভয়াভয় রুপ নিচ্ছে করোনা আর বাড়ছে রোগীর সংখ্যা তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং সেবাও দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের টহল অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা সকল ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ