বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আর দু”সপ্তাহ পর কোরবানির ঈদ। করোনা সংক্রমণের কারণে গরুর হাট বন্ধ রয়েছে। গরু ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ও খামারে গিয়ে কিছু গরু কিনছেন। জয়পুরহাটের খামারি ও কৃষকরা বাড়িতে গরু লালন পালন করে বছর শেষে কোরবানি ঈদে বিক্রি করে থাকে। করোনা সংক্রমণের কারণে এবার জেলার বড় দুইটি গরুর হাটসহ ছোট ছোট হাটও বন্ধ জেলা জুড়ে। জেলার গরু ব্যবসায়ীরা বাড়ি গিয়ে গরু কিনে ট্রাকে করে জেলার বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে। গরু লালন পালনকারিরা বলছেন হাট না থাকায় বাড়িতে গরু বিক্রি করে আশাতীত দাম পাচ্ছেন না। কম দামে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার হানাইল গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসেন এবং ধারকি গ্রামের আব্দুল ওয়ারেস বলেন, হাট না থাকায় তারা বাড়ি থেকে গরু বিক্রি করেছেন। তবে আশাতীত দাম পাননি তারা। ব্যাপারিরা বাড়িতে এসে কম দামে কিনছে। হাট হলে বাজার যাচাই বাছাই করার সুযোগ থাকতো। সে সুযোগ এবার পাচ্ছেন না করোনার কারণে হাট বন্ধ থাকায়।
প্রতি ঈদে গরু কেনা বেচার সঙ্গে জড়িত ধারকি গ্রামের সাহেদ আলী জানান, হাট বন্ধ থাকায় গরু ব্যবসার সাথে জড়িতরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে গরু কিনছেন। তারা ট্রাকে করে ঢাকায় মহাজনের কাছে পাঠাচ্ছেন। শাহেদ বললেন গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কম।
আক্কেলপুর উপজেলার আওয়ালগাড়ি গ্রামের হারুন রশিদ জানালেন, ব্যাপারিরা কয়েক দিন ধরে এলাকায় বাড়ি থেকে গরু কিনে গাছের ছায়ায় জড়ো করে পরে ট্রাকযোগে নিয়ে যাচ্ছেন।
জয়পুরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে গরুর খামার রয়েছে ৫ হাজার ৬১২ টি। খামার ও কৃষকের ঘরে কোরবানির উপযুক্ত গরু রয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৪২৭ টি। জেলায় এ বছর কোরবানির জন্য গরুর প্রয়োজন হবে ৯০-৯৫ হাজার। সে হিসাবে কোরবানি দেওয়ার পরও গরু জেলায় ১২-১৫ হাজার গরু থেকে যাবে। জয়পুরহাট জেলার বাহিরে বিভিন্ন জেলায় এ কোরবানির গরুর কিছুটা চাহিদা মিটাবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান জানান, ভারতীয় গরু আসার কোন সুযোগ নেই। সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে। ঈদে খামারিরা ভাল দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন। এখনো গরু বিক্রির সময় আছে।
জয়পুরহাট ডেইরী ফার্মারস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজশাহী বিভাগীয় সারাধণ সম্পাদক শাদমান আলিফ মিম রায়হান বলেন, এবার জেলায় গরুর হাট বন্ধ থাকায় খামারিসহ ক্রেতারাও ভোগান্তিতে পড়েছে। হাটে ত্রেতা বিক্রেতাগণ গরু যাচাই বাছাই করে বাজার অনুপাতে দাম নির্ধারণে কিনতে পারতো। কিন্তু বাড়ি থেকে বা খামার থেকে সামান্য কিছু গরু বিক্রি হলেও লোকসানে তাদের গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। জয়পুরহাটে অনলাইনে গরু বিক্রি করার সে রকম সুযোগ গড়ে উঠেনি। তিনিও দু”টি গরু লোকসানে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। বাঁকী গরু নিয়ে চিন্তায় আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।