Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদুল আজহায় দেশীয় খামারিদের কথা ভেবে বন্ধ করা হল মিয়ানমারের পশু আমদানী

আমদানীকারকরা অসন্তুষ্ট হলেও খামারীরা খুশী

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ পিএম

দেশীয় খামারিদের কথা বিবেচনা করে মিয়ানমারের সাথে দেশের একমাত্র করিডর শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে মিয়ানমারের পশু আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এতে করে স্থানীয় পশু আমদানিকারকেরা বিপাকে পড়লেও খুশী খামারিরা।

দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে এভাবে পশু আসছিল। প্রতিটি গরু-মহিষের বিপরীতে ৫০০টাকা রাজস্ব আদায় করে বৈধ করা হতো। এখন তা বন্ধ করে দেয়া হল।

সোমবার (৫ জুলাই) রাতে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে পশু আমদানি করে আসছিল করিডোর দিয়ে। এখন সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় খামারিদের কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, উপজেলায় ছোট-বড় আড়াই শতাধিক পশুর খামার রয়েছে। এরমধ্য অর্ধশতাধিক বড়। এসব খামারে ১৮ হাজার গরু- মহিষ -ছাগল রয়েছে। তবে এই উপজেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা ৮ হাজারের মতো।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, রোববার বিকেলে জেলা চোরাচালান নিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির একটি জুম মিটিংয়ে সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে মিয়ানমারের পশু আমদানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কেউ এ আদেশ অমান্য করলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।

টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক কর্মকর্তা মো. আব্দুন নুর বলেন, জেলা চোরাচালান নিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে মিয়ানমারের পশু আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে ওই বৈঠকের আগে মিয়ানমার থেকে যেসব পশু এসেছে সেগুলোর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, চলতি বছরের মে ও জুন মাসে মিয়ানমার থেকে ২৫ হাজার ৮৬৮টি গরু ও ৪ হাজার ২৫৮টি মহিষ এসেছে। এরআগে মার্চ-এপ্রিল মাসে ১১ হাজার ৮৮৬টি গরু ও ২ হাজার ৪২৪টি মহিষ এসেছিল।

টেকনাফে পশু ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সামনে কোরবানি ঈদ, এসময় হঠাৎ করে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হবে। অধিকাংশ ব্যবসায়ী কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়েছেন।

কয়েকজন খামারী বলেন, তারা খুশী মিয়ানমারের পশু আসলে খামারে উৎপাদিত তাদের পশুগুলো বিক্রি হবেনা।

উল্লেখ্য যে, মিয়ানমারের সাথে দেশের একমাত্র করিডর শাহপরীর দ্বীপ। এটি টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক স্টেশনের আওতাধীন। ২০০৩ সালে ২৫ মে মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে পশু আসা রোধ করতে এটি চালু করা হয়েছিল। বিজিবির সীমান্ত চৌকি-সংলগ্ন এলাকায় এই করিডর।

মিয়ানমার থেকে আসা পশু প্রথমে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে রাজস্ব জমা এবং কাস্টমস শুল্ক স্টেশনের অনুমতি নিয়ে করিডর থেকে পশুগুলোর ছাড়পত্র নেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোরবানির পশু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ