বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চলতি বছরে গতকাল পটুয়াখালীতে সর্বোচ্চ ৪৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। গত ৪ এপ্রিল রাতে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে প্রাপ্ত রিপোর্টে জানা গেছে,চলতি ২০২১ সালের এটাই পটুয়াখালী জেলার সর্বোচ্চ শনাক্ত।
গতবছর ২০২০ সালে করোনার শুরুর পরে ঠিক এক বছর আগে ৫ জুলাই ৫১ জন জেলায় সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়, পরবর্তীতে একই মাসের ১৮ তারিখে ৪৪ জন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছিল। গতকাল ৪ জুলাই রাত পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা২৫৮৩, এবং মৃতের সংখ্যা ৫৮ জন।এর মধ্যে চলতি জুলাই মাসের ৪ দিনে আক্রান্ত ৯৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১ জন।
বর্তমানে জেলার ৮ টি উপজেলার মধ্যে কলাপাড়া উপজেলা ক্রমেই করোনার হটস্পট হয়ে উঠছে। পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিস ও কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে ,করোনার প্রথম থেকে কলাপাড়া উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৩ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। এদিকে চলতি বছরের মে মাসের ১ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত সর্বশেষ ৬৫ দিনে কলাপাড়ায় আক্রান্তর সংখ্যা ২৪৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৪ জন। এর মধ্যে মে মাসে আক্রান্ত ১২৬ জন যার মধ্যে কলাপাড়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে কর্মরত ৫৪ জন চায়নীজ নাগরিক,জুন মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ জন যার মধ্যে ৫ জন চায়নীজ নাগরিক,চলতি জুলাই মাসের ৪দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ জন ।এ ছাড়া গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় মোট আক্রান্ত ১৭৪ এবং মৃত ১৪,দশমিনা উপজেলায় ১৫৪ মৃত-৩,বাউফলে ২৩৬ মৃত ৯,মির্জাগঞ্জে ১০৬ মৃত-১,দুমকীতে আক্রান্ত ১৫৪ মৃত -৩ জন।
এদিকে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: চিন্ময় হাওলাদার জানান,প্রতিদিনই তার উপজেলায় করোনা রোগী সনাক্তের হার বাড়ছে, ইতোমধ্যে কলাপাড়া হাসপাতালে করোনা রুগীদের জন্য ৫ টি বেড রয়েছে,এছাড়াও আরও ৪ টি বেড প্রস্তুত করা হচ্ছে।
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: ফাতেমা-তুজ-জোহরা বৃষ্টি জানান,প্রতিদিনই পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির পরিমাণ বাড়ছে,আজ ৫জুলাই হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে ৪ জন এবং সাসপেকটেড ওয়ার্ডের ২০ জন ভর্তি আছেন।পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য ৮০টি বেড রয়েছে।হাসপাতালে বর্তমানে ২ টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা মেশিন সহ ৩৪৭ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ রয়েছে।
পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান,পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য মে মাসের মধ্যবর্তীতে ৫ টি আইসিইউবেড সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে,ইতোমধ্যে গণপূর্ত বিভাগ আইসিইউ ইউনিটের বেড স্থাপনের জন্য অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন করেছে।জনবল ,প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট সহ বেড স্থাপনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পত্র দিয়েছেন।ইউনিসেফের সহায়তায় ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যায়ে হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেমের লাইনের কাজ সম্পন্ন হলে ও অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজ বাকী রয়েছে,অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য মেনিফোল্ড সিলিন্ডার সিস্টেম চালু করার কাজ ১ সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে।জেলার ৬ টি উপজেলা হাসপাতালে ২২৪ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ রয়েছে। এছাড়া ও করোনা শনাক্তকরণ আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়েছে । ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি প্রাপ্তি সাপেক্ষ কাজ শুরু করা হবে।তিনি আরো জানান,উপজেলা পর্যায় দুমকী,মির্জাগঞ্জ ও কলাপাড়ায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু আছে। এ ছাড়া ও দশমিনায় হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে। জিনএক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে কলাপাড়া ,গলাচিপা,ও পটুয়াখালী বক্ষব্যাধী হাসপাতালে করোনা শনাক্তকরণ কাজ চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।