বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভোলায় লকডাউন সফল করার জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে জেলা, উপজেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলা এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।সাথে রয়েছেন নৌবাহিনী, বিজিবি, র্যাব,পুলিশ ও ব্যাটেলিয়ন আনসার সদ্যস্যরা।
রবিবার (৪ জুলাই) সকালে অনেক বৃস্টির মাঝেও ভোলা সদরে উপজেলা নির্বাহী মিজানুর রহমান,গুইঙ্গার হাট, বাংলাবাজার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফ হাসান, ইলিশা, পরানগঞ্জে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহ আহমদ , নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ফাতেমা,সহকারী কমিশনার ( ভূমি) আবু আবদুল্লাহ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ানকে টহল দিতে দেখা গেছে।এসময় তারা মাস্ক পরার জন্য সতর্ক করে কিছু কিছু মাস্ক বিতরন করেন এবং মাইকিং করে সতর্ক করেন। এছাড়াও লালমোহন উপজেলার বিভিন্নস্থানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান ও সহকারী কমিশনার ( ভুমি) জাহিদুল ইসলাম নোমান,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান মুরাদ এর নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে লকডাউন প্রতিপালনে কঠোর ভুমিকা পালন করছে বলে জানা যায়। এসময় স্বাস্থবিধি না মানায় ৪ জুলাই রবিবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত ৫৯ টি মামলায় ৬৫ জনকে ৭৫৪০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং ৪ জনকে ৩ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউছুফ হাসান। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী ১ - ৪ জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থবিধি লঙ্গন করায় ৬৭ টি মোবাইল টিম পরিচালানার মাধ্যমে ৬২২ টি মামলা, ৬৫৯ জনকে ৫,৯৭,৫০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে বলে জানা যায় ।
এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন এবং স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানাসহ আইনের আওতায় আনা হবে বলে সতর্ক করে মাইকিং সহ বিভিন্ন ভাবে সতর্ক করতে দেখা গেছে। এছাড়া মোটরসাইকেল এবং বিভিন্ন যানবাহনের গতিবিধি রোধ করার জন্য শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে পুলিশ চেক পোস্ট।এর পরেও বিভিন্ন স্থানে কিছু অটো রিক্সা, বোরাক, মোটর সাইকেল সহ বিবিন্ন যানবাহ চলতে দেখা গেছে। তবে শহর এলাকায় বেশ কঠোর লকডাউন পালন করতে দেখা গেলেও গ্রামে হন্জে তেমন লকডাউন পালন হচ্ছে না বলে জানা গেছে। বিভিন্ন মেড়ো মোড়ের দোকানগুলাতে চায়ের আড্ডা দিতে দেখা গেছে।ব্যবহার করছে না মাস্ক। স্বাস্থ সচেতনতায় বা লকডাউন মানতে হবে সে রকম কোন অনুভুতিই দেখা যায়নি সাধারন মানুষের মাঝে।
কঠোর লকডাউন সফল করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সাথে নৌবাহিনী, বিজিবি,র্যাব,পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।