বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কঠোর লক ডাউন বাড়বে কি না ? স্বাভাবিকভাবে কোরবানির হাট বসবে কিনা ? এইসব পশ্নে ব্যক্তি বিনিয়োগ, এনজিওর কিস্তিলোনের টাকায় প্রস্তত করা লক্ষ লক্ষ কোরবানীর গবাদী পশু নিয়ে চিন্তায় উত্তরের পড়েছে ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বড়বড় খামারী। তারা দাবি করছেন দ্রুতই এব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত জানানো হোক।
এছাড়াও বন্যার সময় এগিয়ে আসায় এবং গত বছরের মতো বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হলে কি হবে সেটা নিয়েও চিন্তিত খামারীরা।
এমত অবস্থার মধ্যেই রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় এবং বগুড়া জেলা পশু সম্পদ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত কয়েক বছরের মত উত্তরের ১৬ জেলায় এবারও কম বেশি ১৬ / ১৭ লাখ গরু এবং মহিষ, ভেড়া,ছাগল মিলিয়ে ৫০ লাখেরও বেশি কোরবানীর পশু প্রস্তত আছে ব্যাক্তি ও খামার কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান সমুহে।
খোঁজ খবর নিয়ে নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত চড়াই উৎরায় পেরিয়ে ও উত্তরাঞ্চলের সর্বত্রই গত কয়েক বছরে ব্যক্তি ও বিভিন্ন সংস্থার প্রজেক্ট পর্যায়ে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার , ডেইরী ও পশু খামার। ধারনামতে এই খাতে বিনিয়োগের পরিমান হাজার কোটি টাকার কম নয় বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। সরকারি বেসরকারি ব্যাংক , এনজিও ও বৈধ বা অবৈধ হোক বহু অর্থনৈতিক সমিতিগুলো বিনিয়োগ করেছে এই খাতে।
বিশেষ করে বিদেশি অর্থায়নে চরজীবীকায়ন প্রকল্পের সুফলকে ঘিরে পদ্মা ,যমুনা ,তিস্তা ও ব্রম্ভ্রপুত্র নদী ও নদের চরাঞ্চলে শত শত বাথানের হাজার হাজার গরু , খাসি,মহিষ ও ভেড়াকে কোরবানি উপযোগি করে প্রস্তত করেছে ছোট বড় উদ্যোক্তারা।
এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে একাধিকবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধাণমন্ত্রীর পদক পাওয়া বগুড়ার এক জন উদ্যোক্তা ও সফল গবাদী পশুর খামারী সামসুল আবেদনি সবুর বলেন , গত বছর করোনা, দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারনে দুর্গম এলাকার খামারীরা হাটে এনে গরু, ছাগল, ভেড়া স্বাভাবিকভাবে বিক্রি করতে পারেননি। কঠোর লকডাউনের কারনে এবারো যদি কোরবানির জন্য প্রস্তুত পশু বিক্রি না হয় তাহলে এই খাতে বিনিয়োগ করা হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তা সবাই ক্ষতির স্বীকার হবে চরমভাবে। এর পাশাপাশি শেষ মুহুর্তে যেন দেশে ভারতীয় গরুর আগমন না ঘটে সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতির কারনে ঘোষিত কঠোর লগডাউনের কারনে অঘোষিতভাবে চলা উত্তরাঞ্চলের গ্রাম পর্যায়ের হাট গুলোতে কোরবানীর পশু বেচা বিক্রি জমে ওঠেনি। এর কারন হাটগুলোতে পশুর আমদানি হলেও ক্রেতারা হাটে আসতে পারছেননা। কঠোর লকডাউন কড়াকড়িভাবে পালনের জন্যই মুলত ক্রেতারা আসতে পারছেননা বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।