পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বিসর্জন দিয়ে কোন প্রকার আইন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে কওমি মাদরাসার অস্তিত্ব বিনষ্ট হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনটি কওমি সনদ স্বীকৃতি আইন ২০১৮ এর অনেক ধারার সাথে সাংঘর্ষিক ও বিরোধী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট হবে। এতে সারাদেশের কওমি অঙ্গনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। অবিলম্বে উল্লেখিত প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান কওমি মাদরাসা আইন ২০১৮ ধারার পরিপন্থী ও কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বিরোধী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বিসর্জন দিয়ে কোন প্রকার আইন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট হয়ে অস্তিত্ব সঙ্কটে পরবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনটি কওমি সনদ স্বীকৃতির ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র বা কওমি সনদ স্বীকৃতি আইন ২০১৮ এর অনেক ধারার সাথে সাংঘর্ষিক ও বিরোধী।
তারা বলেন, গত ২১ জুন জারিকৃত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন করা হলে অনেক আইনি জটিলতা ও সঙ্কট তৈরি হবে। এটি বাস্তবায়ন করা হলে কওমি মাদরাসার অস্তিত্ব বিনষ্ট হবে এবং মাদরাসার কার্যক্রম সঙ্কুচিত হবে। তারা কওমি মাদরাসা আইন ২০১৮ এর ধারার পরিপন্থী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি : সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত একটি নতুন প্রজ্ঞাপনে ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যাতে দেশের সকল আলেম উলামা তথা গোটা কওমি অঙ্গন আজ শঙ্কিত ও চিন্তিত। বিষয়টি নিয়ে কওমি মাদরাসার আলেম উলামার মধ্যেই চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট হবে। এতে সারাদেশের কওমি অঙ্গনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পার্টির সভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান, নির্বাহী সভাপতি ও জাতীয় সংহতি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা একে এম আশরাফুল হক, সহ-সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা আতাউর রহমান খান, মাওলানা নওফল আহমদ, মাওলানা মাহবুবুর রহমান নড়াইলী, মাওলানা মিজানুর রহমান রাজাপুরী, মাওলানা যোবাইর হোসাইন নেজামী, মাওলানা নজরুল ইসলাম, অর্থসচিব মাওলানা মুমিনুল ইসলাম, প্রচার সচিব মুফতি ফারুক আহমদ, সদস্য মাওলানা এমদাদ হোসেন সাকী ও মাওলানা আমির হোসেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশের কওমি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা উপমহাদেশের প্রাচীনতম একটি শিক্ষাব্যবস্থা। যা দেশের কোটি কোটি মুসলমানকে প্রায় পৌনে দুই শত বছর যাবত নীতি নৈতিকতা ও ধর্মীয় তথা ইসলামী জ্ঞান শিক্ষার বন্দোবস্ত করে আসছে। বৃটিশ ও পাকিস্তান শাসনামলেও এই শিক্ষাব্যবস্থা চালু ছিল এবং এর স্বাভাবিকতা ও স্বকীয়তাও বজায় ছিল। এমনকি স্বাধীনতার পর থেকেও এই শিক্ষাব্যবস্থা আপন গতিতেই চলে আসছিল। তবে কোন সরকারই এই শিক্ষাব্যবস্থার রাষ্ট্রীয় কোন স্বীকৃতি দেয়নি। বর্তমান সরকারও সেই অবস্থায়ই কওমি মাদরাসার সনদ স্বীকৃতির ঐতিহাসিক ঘোষণা প্রদান করেছে। তারা আরও বলেন, গত ২১ জুন জারিকৃত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন করা হলে অনেক আইনি জটিলতা ও সঙ্কট তৈরি হবে। যা সরকার ও আলেম-উলামাদের জন্য বিব্রতকর। নেতৃবৃন্দ কওমি মাদরাসা আইন ২০১৮ এর ধারার পরিপন্থী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।