পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কওমি মাদরাসার স্বকীয়তার উপর হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন। কওমি মাদরাসা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। স¤প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত একটি নতুন প্রজ্ঞাপনে ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট হবে। অবিলম্বে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করতে হবে। কওমি মাদরাসা সংক্রান্ত জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : কওমি মাদরাসার স্বকীয়তার উপর হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কওমি মাদরাসাগুলো সরকারি অনুদান ব্যতিরেকে জনগণের সাহায্য-সহযোগিতায় চলে আসছে। কাজেই সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে।
পীর সাহেব বলেন, দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের দাবি দারুল ঊলূম দেওবন্দেওর নীতিমালা মেনে কেবলমাত্র সনদের স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল। সরকারও সেই শর্ত মেনেই দাওরায়ে হাদীসকে মাস্টার্স সমমান মর্যাদা দিয়েছে। এখন কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বিলীন করে সরকারের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। পীর সাহেব চরমোনাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কওমি মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি : বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি ও জাতীয় সংহতি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা একে এম আশরাফুল হক গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, স¤প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত একটি নতুন প্রজ্ঞাপনে ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যাতে দেশের সকল আলেম উলামা তথা গোটা কওমি অঙ্গন আজ শঙ্কিত ও চিন্তিত। বিষয়টি নিয়ে কওমি মাদরাসার আলেম উলামার মধ্যেই চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট হবে। এতে সারাদেশের কওমি অঙ্গনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশের কওমি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা উপমহাদেশের প্রাচীনতম একটি শিক্ষাব্যবস্থা। যা দেশের কোটি কোটি মুসলমানকে প্রায় পৌনে দুই শত বছর যাবত নীতি নৈতিকতা ও ধর্মীয় তথা ইসলামী জ্ঞান শিক্ষার বন্দোবস্ত করে আসছে। বৃটিশ ও পাকিস্তান শাসনামলেও এই শিক্ষাব্যবস্থা চালু ছিল এবং এর স্বাভাবিকতা ও স্বকীয়তাও বজায় ছিল। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনটি কওমি সনদ স্বীকৃতির ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র বা কওমি সনদ স্বীকৃতি আইন ২০১৮ এর অনেক ধারার সাথে সাংঘর্ষিক ও বিরোধী। যা সরকারের আইন ও নীতিমালার সুস্পষ্ট স্ববিরোধী অবস্থান।
তিনি বলেন, জারিকৃত প্রজ্ঞাপন কওমি অঙ্গন কখনো মানতেও প্রস্তুত নয়। তিনি কওমি মাদরাসা আইন ২০১৮ এর ধারার পরিপন্থি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।