বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সীমান্তবর্তী জেলা যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যুতে এ সংখ্যা এখন ১৫২।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় উপসর্গ নিয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪২ জনের। ৫৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সনাক্তের এই সংখ্যা পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার যশোর সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে, যশোরের আট উপজেলায় সরকারের ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের সাথে ৮প্লাটুন সেনাবাহিনী ও ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের ১০টি ভ্রাম্যমান মোবাইল টিম এবং জেলা পুলিশের শতাধিক চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রেহেনেওয়াজ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৫৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ২৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৮ জন, জিন অ্যাক্সপার্ট পরীক্ষায় ১৮ জনের মধ্যে ১০ জন এবং র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ২৪১ জনের মধ্যে ৮৪ জন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। শনাক্তের হার ২৬ শতাংশ। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ জন। এছাড়া এই সময়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট করোনা সনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৫০৭ জনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৯ জন। জেলায় মোট মৃত্যু ১৫২ জনের।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহমেদ জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪ জন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। যশোর হাসপাতালের রেডজোনে এখন ভর্তি আছেন ১০৩ জন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে ইয়েলো জোনে ভর্তি আছেন আরও ৬১ জন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, যশোরে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। শনাক্তের উর্ধ্বগতি রুখতে কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকরে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। বিধিনিষেধ প্রতিপালনে আরো কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। করোনা রুখতে জনগণকেও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি বিধিনিষেধ প্রতিপালনে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেছেন তিনি।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, জুন মাসের প্রথম থেকে সংক্রমণের হার বাড়ছে। এটির যে উর্দ্ধমুখি ছিল সেটি কমছে না। ধারণা করা হচ্ছে এটি গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়েছে। যার কারণে বিধিনিষেধেও সংক্রমণ কমানো সম্ভব হচ্ছেনা। আশা করা হচ্ছে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।