বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারেও করোনা সংক্রমণ রোধে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের কঠোর বিধি নিষেধ বা লকডাউন।
সারাদেশের মত কক্সবাজারেও বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লকডাউনের প্রথম দিনে শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় লক্ষ্য করা গেছে এর প্রভাব। সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ যথাযথভাবে পালন করতে শহরের প্রবেশমুখ কলাতলী মোড়, বাস টার্মিনাল ও লিংকরোডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় দেখা গেলে আটকানো হয়েছে চেকপোস্টে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে দেখা গেছে জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জাম সহ কর্মকর্তাদের।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে আবারো এই বিধি-নিষেধ লকডাউনে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। শহরের ঘোনার পাড়ার ভ্যান চালক রশিদ মিয়া জানান, গাড়ির চাকা না ঘুরলে পেটে ভাত জুটে না। লকডাউনের মধ্যেও সংসার চালাতে বের হয়ে গেছি।
লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকা, বাজারঘাটা, ভোলা বাবুর পেট্রল পাম্প এলাকা, লালদিঘীর পাড়, হলিডে মোড়, ঘুনগাছ তলা, কলাতলী মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে কিছু মালবাহী গাড়ী চলাচল করলেও গণপরিবহন কোথাও চোখে পড়েনি। তবে কিছু ব্যাটারী চালিত রিকশা, টমটম ও কিছু সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। মুদির দোকান ও খাবারের দোকান খোলা থাকলেও হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ ছিল।
সকাল থেকে টহল অভিযানে ছিলেন, প্রশাসন ও সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিল্টন রায় জানান, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মানুষের চলাচলে ‘বিধি-নিষেধ' আরোপ করে ২১ দফা নিদের্শনা দিয়ে সরকারের জারী করা প্রজ্ঞাপন মেনে চলতে জনগণকে বুঝানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিনা কারণে বের হলে নেওয়া হবে আইগত ব্যবস্থা।
একইভাবে রামু, উখিয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলাতেও কড়াকড়িভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন সক্রিয় ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।