Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে তিস্তার পানি: বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২১, ৭:৪৩ পিএম | আপডেট : ৭:৪৩ পিএম, ৩০ জুন, ২০২১

ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে পানি বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে উভয় তীরে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৬টা থেকে থেকে অস্বাভাবিকভাবে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সর্বশেষ দুপুর ১২টায় পানি ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার স্পর্শ করে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে তিস্তার পানি।

তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন।

এদিকে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, পাটিকা পাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নসহ রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ, ছোট রূপাই, লক্ষিটারী, নেহালী, কচুয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে বিভিন্ন রবিশস্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলের চাষীরা। বিশেষ করে করলা, পটল, ঝিঙ্গা, শসা, কাঁচা মরিচ, ভূট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রংপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ