Inqilab Logo

শনিবার, ২২ জুন ২০২৪, ০৮ আষাঢ় ১৪৩১, ১৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঘরে ঘরে জ্বর ও করোনা আতঙ্কে সৈয়দপুরের মানুষ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২১, ৭:১৫ পিএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঘরে ঘরে জ্বর দেখা দিয়েছে সেইসাথে বেড়েছে করোনা আতঙ্ক। এ উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন, কামারপুকুর, খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর, বোতলাগাড়ী, বাঙ্গালীপুর ও শহরের পৌর এলাকায় প্রায় বাড়িতে জ্বর দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, সিজনাল জ্বর হচ্ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, প্রচন্ড গরম, শরীরে ঘাম শুকিয়ে যাওয়া এবং গরমের কারণে ঠান্ডা পানীয় গ্রহণ করায় এমন হয়ে থাকে। নাপা জাতীয় ওষুধ সেবনেই এই জ্বর নেমে যাবে।

বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পল্লী এলাকার মাঝাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ পেশায় একজন দোকান কর্মচারী তিনি বলেন, তার পরিবারের প্রথমে দুই জন ও পরে তিন জন সদস্য জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন আজ প্রায় ৪ দিন হয়ে গেল কোন উন্নীতই হয়নি। তার পার্শ্বের বাড়িরও একই অবস্থা।

খবর নিয়ে জানা গেছে একই অবস্থা বিরাজ করছে গোটা উপজেলা মিলে। শহরের হাতীখানা বানিয়াপাড়া এলাকায় শ্রমজীবী দেলোয়ার জানান তার একাš-বর্তি পরিবারে দুই শিশুসহ প্রায় ছয় জন জ্বরে ভুগছে। গত দুইদিন যাবত কোন চিকিৎসা নেননি তবে তার ধারনা দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডার কারণে এ জ্বর হচ্ছে। তাই তিনি মৌসুমি ফল আনারস সবাইকে খাওয়াতে জ্বর কমে গেছে।

বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বিনয় কুমার রাজবংশি বলেন বাড়ির একজন শিশুসহ তিন জনের জ্বর হয়েছে, ভয়ে ডাক্তার দেখাতে ও হাসপাতাল যেতে পারছিনা করোনার ভয়ে। তবে পরিচিত ডাক্তারের কাছে মোবাইলে পরামর্শ নিছি।

শহরের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনামুল হক জানান, সিজনাল জ্বর হ"েছ এতে ভয়ের কিছু নাই। নিয়মিত ঔষধ সেবন করলেই সুস্থ হবে। তবে আগের তুলনায় কিছুটা হলেও রোগীর চাপ বেড়েছে।

সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ আলেমুর বাশার বলেন, ‘সিজনাল জ্বর গ্রামগঞ্জে হচ্ছে এবং দু এক দিনেই সুস্থ্যও হচ্ছে তবে করোনাকালীন এই সময়ে জ্বর হলে করোনার জন্য নমুনা দেয়া ভালো। কারণ কার পজিটিভ হবে আর কার হবে না সেটি আমরা পরীক্ষা না করে বলতে পারব না। আমি মনে করি মাস্ক ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. ওয়াসিম বারী জয় বলেন, হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকলেও কিছুতেই মানতে চান না তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। এভাবেই জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা করোনা পরীক্ষায় একেবারেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

তিনি আরও জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে দিনে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। দিনের বেলা প্রচণ্ড গরম ও ভোররাতে কিছুটা ঠান্ডা পড়ছে। আবহাওয়ার কারণেও জ্বর বেড়ে যেতে পারে। তবে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাকেও কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নীলফারমারী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ